
মিশেল লরেন্টের গণহত্যা সাক্ষ্য
ফরাসি যুবক মিশেল লরেন্ট বাল্যকালে লুকোচুরি খেলায় পারদর্শী ছিলেন কিনা সে বিষয়ে তথ্য পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ২৫ বছর বয়স্ক অ্যাসোসিয়েটস প্রেসের ফটোসাংবাদিক ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে রীতিমতো লুকোচুরিই খেলেছিলেন।
২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর ক্র্যাকডাউনের পর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করা অর্ধ-শতাধিক সাংবাদিককে দেশত্যাগে বাধ্য করে পাকিস্তানি সেনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুইজন সাংবাদিক পাকিস্তানি সেনাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন। তারা হলেন, দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সায়মন ড্রিং ও এপি’র ফটোসাংবাদিক মিশেল লরেন্ট।
সায়মন লুকিয়ে ছিলেন হোটেলের ছাদে এয়ারকন্ডিশনারের কক্ষে আর মিশেল লুকিয়ে ছিলেন হোটেলের হলরুমের একটি টেবিলের নিচে। টেবিলটি সাদা কাপড় দিয়ে আবৃত ছিল। যার ওপরে ছিল প্লেট, পিরিচ ও বিভিন্ন ধরনের চামচ। ঠিক যেন বাল্যকালের লুকোচুরি খেলা।