যাচাই-বাছাইবিহীন ঢালাও বৈদেশিক বিনিয়োগ কাম্য নয়

বণিক বার্তা আবু তাহের খান প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৫২

১৯৮২ সালে বহুল আলোচিত ওষুধ নীতি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এ দেশে উৎপাদনরত বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই ক্রমান্বয়ে এখান থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে প্রায় সবাই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায়। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ দেশে স্থানীয় বিনিয়োগে ওষুধ শিল্প গড়ে ওঠার যে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়, তারই ফল হচ্ছে ওষুধের ক্ষেত্রে একসময়ের প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর বাংলাদেশ কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৯৪৭ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ রফতানি। ধারণা করা যায়, আগামী এক দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের তালিকায় ওষুধ অন্তত শীর্ষ তিনে উঠে আসতে সক্ষম হবে। তবে অকপটে স্বীকার করে নেয়া ভালো যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ওষুধসহ সব শিল্পেই সব ধরনের বিনিয়োগ ও বিকাশের ক্ষেত্রে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তার রেশ কাটিয়ে ওঠা মোটেও সহজ হবে না।


বৈদেশিক বিনিয়োগ শিরোনামের আওতায় আলোচনা করতে যেয়ে ওষুধ শিল্পের প্রসঙ্গ টানা এ কারণে যে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও সব খাতেই এটি ঢালাওভাবে কাম্য নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত নীতিকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পরিণামে তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে, যেমনটি ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে ঘটেছে। এ অবস্থায় নিকট ভবিষ্যতের বৈদেশিক বিনিয়োগনীতির প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়কে অবশ্যই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অতীতে কোন ধরনের বৈদেশিক বিনিয়োগ কী ধরনের ফলাফল দিয়েছে, সেটিকেও গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করা উচিত হবে। কিন্তু সেটি না করে নিছক তাৎক্ষণিক আবেগ ও অনুমানের ভিত্তিতে হাতের কাছে বা সামনে পাওয়া যেকোনো বিনিয়োগ প্রস্তাবকে কোনোরূপ যাচাই-বাছাই ছাড়াই লুফে নেয়াটা মোটেও উচিত হবে না বলেই মনে করি। আর তেমনটি করার কারণেই অনেকটা হতাশার সঙ্গে লক্ষ করতে হচ্ছে যে গত পাঁচ দশকে এ দেশে যত বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে, তার একটি বড় অংশই বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উপকার বয়ে আনতে পারেনি। বরং ওই সব বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ঔপনিবেশিক আমলের মতোই একচেটিয়া মুনাফা লুটে সে অর্থ নিজ দেশে বা অন্যত্র নিয়ে গেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও