অভিযোগ ও উত্তর খোঁজা

ঢাকা পোষ্ট মুজতবা আহমেদ মুরশেদ প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৫

প্রশ্ন করতে হয় পিনপয়েন্টে। তা হলো, কেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চলছে? কে করছে এইসব এবং কার ইশারায়? এ দেশের জনগণের জানার, বোঝার অধিকার আছে।


যারা দেশকে রক্ষা করতে এই দুঃসময়ে রাত দিন পরিশ্রম করছেন। নিশ্চয়ই সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দৃপ্তভাবে আমার দেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব এবং সেনাবাহিনীর পাশে। আর তখনই প্রশ্ন জাগরিত হয় এখনকার কোনো কোনো তরুণ নেতৃবৃন্দের নানাবিধ কর্মকাণ্ড ঘিরে। কী চায় তারা? বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা কি তারা দেখতে চায় না? তারা কি চায় না জনগণের জন্যে শান্তি ফিরে আসুক?


সম্প্রতি আমার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে সদ্য জন্মানো জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা আবুল হাসনাতের দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট। শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ কুশাসন এবং ভয়াবহ রকম লুটপাটের কবল থেকে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে আরেকটি স্তরে নিতে যে কয়েকজন তরুণ ভূমিকা রেখেছেন, হাসনাত সেই সাহসীদের তালিকায়। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসা জনতা তাকেও দিয়েছিল অফুরন্ত ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে পোক্ত করতে তাদের সাহসের মাঠে সরাসরি সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পাশে থেকেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তার দৃঢ় এবং সঠিক নেতৃত্ব না হলে আগস্টের রক্তাক্ত দিনগুলো আরও বেদনার্ত হয়ে উঠতো। বাংলাদেশ হয়তো প্রবেশ করতো একটি অনিবার্য ভয়াবহ সংকটে।



সেই সংকটের উত্তরণে নিঃসন্দেহে কাণ্ডারির ভূমিকা রেখেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সাথে তার সতীর্থ কমান্ডাররা। অথচ তাকেই এখন প্রশ্নবিদ্ধ করতে পিছ পা হচ্ছে না আগস্ট অভ্যুত্থানের অনেক কলাকুশলী। তাদের অনেকেই রাজপথে, মাঠে-ঘাটে, অনলাইনে নানাবিধ নোংরা বাক্য ছড়াতে ব্যস্ত। অথচ তারা ভুলে যাচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। ভুলে যাচ্ছে তারা, সেনাবাহিনী প্রধান একজন ব্যক্তি নন, তার পদটি একটি প্রতিষ্ঠান, সুতরাং তিনি পদাধিকারেই একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে কুতর্ক রচনা করলে বাংলাদেশ আঘাত পায়, আঘাত পায় এ দেশের সার্বভৌমত্বের শক্তি।


তরুণ নেতা হাসনাত ফেসবুকে কী পোস্ট করেছেন? তিনি লিখেছেন, “১১ই মার্চ সময় দুপুর ২:৩০। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন চৌধুরী, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। আমি সহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ।


আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়-ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে। আমাদেরকে আরও বলা হয়-রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল- মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।


আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন। এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরণের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং 'আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক'।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও