গেল জানুয়ারিতে কাজল যখন যক্ষ্মা আক্রান্ত হন, তখন তার পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি। তবে ট্রাম্প প্রশাসন বেশিরভাগ মার্কিন সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি ও তার পরিবার পড়েছেন বিপদে।
বিবিসি লিখেছে, চিকিৎসা না হলে টিবি মারাত্মক হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত অত্যন্ত সংক্রামক রোগটিতে সাধারণত ফুসফুস আক্রান্ত হয়; তবে ধনী দেশে এই রোগের ব্যাপকতা নেই, কারণ এর চিকিৎসা খরচ তুলনামূলক কম। কিন্তু রোগটি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে।
বিশেষ করে মোহাম্মদপুরের মতো এলাকায়- যেখানে বস্তিতে থাকেন ১৭ বছর বয়সী কাজল।
তিনি বলছিলেন, “আমরা গরিব মানুষ।”
মা, ছোট ভাইসহ তিন সদস্যের পরিবারে কাজলই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পোশাক কারখানায় কাজ করে তিনি যা আয় করেন তাই দিয়ে চলে পরিবারে সবাই।
এ কারণে জানুয়ারিতে যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারত। সেই সময় সহায়তার হাত বাড়িয়েছিলেন দীপা হালদার, যিনি গত তিন বছর ধরে মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে যক্ষ্মা সম্পর্কে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন এবং বিনামূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।