
ঈদের পরেই আসছে এনসিপির ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’
কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত। বড় সাফল্যের পর রাজপথই বেছে নিয়েছে তরুণ ছাত্ররা। সম্প্রতি তারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। এবার শোনা যাচ্ছে ঈদের পরই আসছে তাদের ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির। দলটির হাল ধরেছেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম সংগঠক মো. নাহিদ ইসলাম। ঐদিন ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংবিধান সংস্কার করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে জোরালো বক্তব্য দেন দলের শীর্ষ দুই নেতা। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারবো। আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই যেখানে সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।