ঢাকার নতুন প্রশাসকদের কাছে প্রত্যাশা, রুয়ান্ডা পারলে আমরা কেন নয়?

প্রথম আলো ঢাকা মেট্রোপলিটন ড. আমিনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন প্রশাসক হিসেবে মোহাম্মদ এজাজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন পরিবেশবিদ। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া। এই পদ এক অর্থে মেয়র পদমর্যাদার। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, একজন মেয়রের কাছ থেকে শহরবাসীর যা যা প্রত্যাশা থাকার কথা, নতুন প্রশাসকদের কাছেও হয়তো সেই প্রত্যাশাগুলোই থাকবে।


পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে বসবাসের যোগ্য শহরগুলোর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেই তালিকায় ঢাকা শহর নিয়ম করে একদম শেষের দিকেই থাকে। অর্থাৎ ঢাকাকে এক অর্থে বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর একটি বলা যেতে পারে। এমন একটা শহরের প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়া যেমন চ্যালেঞ্জিং, আবার একই সঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগও আছে।


ঢাকা শহরে জন্ম ও বেড়ে উঠা একজন নাগরিক হিসেবে বলতেই হচ্ছে, এ শহরের একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ আসলে কোনো রকম নাগরিক সুবিধা পান না। না আছে তাঁদের একটা থাকার জায়গা কিংবা নিরাপদ পানি অথবা অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এই মানুষগুলোকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নতুন প্রশাসক চাইলেই উদ্যোগ নিতে পারেন। এটি কোনো রকেট সায়েন্সও নয়।


রুয়ান্ডার মতো দেশ, যে দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা লেগেই থাকত। অর্থনৈতিকভাবেও ওরা অনেক দুর্বল। সেই দেশটির একজন নেতা ঠিক করলেন, তিনি পুরো দেশটিকে ঢেলে সাজাবেন। সেই অনুযায়ী তিনি রাজধানী শহরের সব বস্তি ভেঙে বস্তিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করলেন। পুরো শহরকে কমিউনিটি ক্লিনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসলেন। ফলাফল হচ্ছে রুয়ান্ডার রাজধানী এখন আফ্রিকার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর।



ঢাকাতেও সেটা করা যেতে পারে। ঢাকার আশপাশে খুব কম জায়গায় ছোট ছোট ফ্ল্যাট করে বস্তির মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই ‘সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন’ নামে একটি কার্যক্রম আছে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাও আছেন।


এই বিভাগের কাজটা আসলে কী, আমার সঠিক জানা নেই। তবে আমি মনে করি, এই বিভাগে সমাজ ও সমাজের মানুষের কল্যাণ নিয়ে ভালো ধারণা আছে, এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। যিনি বস্তিবাসীদের কল্যাণে কাজ করবেন। তাঁদের পুনর্বাসনের দেখভাল করবেন।


আর এই পুরো প্রক্রিয়ার অর্থায়ন করা যেমন খুব বেশি খরুচে নয়, তেমনি টেকসই উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও ফান্ড পাওয়া যেতে পারে। এটি ভুলে গেলে চলবে না জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের একটি পূর্বশর্ত হচ্ছে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন।


ঢাকাকে কি আদৌ আমরা নিরাপদ নগর বলতে পারি?


আমার মনে হয় বেশির ভাগ নাগরিক বলবেন ‘না’। অনেক স্থানে তো সন্ধ্যার পর একা হেঁটে বেড়ানোই মুশকিল। এ ছাড়া চুরি ও ছিনতাই—এসব তো আছেই। সিটি করপোরেশন চাইলেই কমিউনিটি সিকিউরিটির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়ে নিরাপত্তা সেল তৈরি করা যেতে পারে। যাঁদের কাজ হবে নিজেদের এলাকাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখা। শুধু দিনের বেলায় নয়, রাতেও। যাতে নাগরিকেরা চাইলেই রাতের বেলায়ও নিরাপদে চলাচল করতে পারেন।


এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁরা দুই-তিন মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। এটা হতে পারে বিনা বেতনে। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা একটা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট পাবেন। আবার হতে পারে পার্টটাইম কাজ। প্রতিটি এলাকায় এমন সেল করে সেই সেলকে আবার আলাদা করে মনিটর করতে হবে; যাতে যাঁরাই পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা দেওয়ার কাজে থাকবেন, তাঁরা যেন আবার কোনো খারাপ কাজে যুক্ত হয়ে না পড়েন।
একই কাজ করা যেতে পারে ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করার ব্যাপারে। কমিউনিটি ক্লিনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রুয়ান্ডার মডেল এই ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও