তিউনিসিয়ার মতো খাদে পড়তে যাচ্ছে কি বাংলাদেশ
‘জেসমিন বিপ্লব’ নামে পরিচিত এ ঘটনা দেশটিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় পরিবর্তনের ব্যাপক আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। যদিও অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের পরিবর্তে জনতুষ্টি অর্জনেই মনোযোগী ছিল বেশি। দেশটির সরকারের এ জনতুষ্টিবাদের চর্চা তিউনিসিয়ায় নতুন করে উসকে দেয় ঘৃণা ও সংঘাতের চর্চাকে। দেখা দেয় এক দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতা।
তিউনিসিয়ার মতো দীর্ঘদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা শাসককে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উৎখাত করেছে বাংলাদেশীরাও। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ছয় মাস পেরোলেও এখনো আর্থসামাজিক খাতে জনআকাঙ্ক্ষাগুলো সেভাবে পূরণ হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটা এবং অর্থনীতি পূর্ণ গতিশীল করে তোলার পরিবর্তে যেকোনো আন্দোলনের মুখে যেকোনো দাবিকে দ্রুত মেনে নেয়াসহ নানা ধরনের অকার্যকর ও অগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সময় নষ্ট হচ্ছে বেশি। যদিও একই সময়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি। মূলধনের প্রবাহ কমে গিয়ে শ্লথ হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি। আসছে না দেশী-বিদেশী নতুন বিনিয়োগ। বাড়ছে দারিদ্র্য ও কর্মহীনতা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশেও তিউনিসিয়ার মতো আত্মঘাতী জনতুষ্টিবাদ বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।