ফুটবল ম্যাচে বাধা: নারীর ক্ষমতায়ন ও বিক্ষুব্ধ জনতা
‘তৌহিদী জনতা’-এর দাবির মুখে দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয় সম্প্রতি। বিষয়টা শুধু খেলা বন্ধেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতার চাপে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও অপু বিশ্বাস নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। মাসদুয়েক আগে চট্টগ্রামে শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে একই ঢঙে তৌহিদী জনতার বাধার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও।
মূলত, গত ৫ অগাস্টের পর দেখা যাচ্ছে যে ‘তৌহিদী জনতা’ বা ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’-এর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নারীকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান পণ্ড করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা মোকাবিলায় তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য নারীদের ফুটবল কোনোভাবে ব্যাহত হোক, তা সরকার চায় না বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মেয়েদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে হাঙ্গামার ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “বাংলাদেশ সরকার মনে করে নারীদের ফুটবল প্রমোট করা উচিত। তারা আমাদের সমাজের অংশ ও তারা আমাদের গর্ব। নারীদের ফুটবল কোনোভাবে ব্যাহত হোক, এটা সরকার চায় না। এজন্য প্রশাসন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সবার সাথে মিলে আন্তরিকভাবে এ বিষয়ে কাজ করবে।”