You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিশ্বের কোথায় কীভাবে নৈতিক শিক্ষা অগ্রাধিকার পাচ্ছে

সুস্থ সমাজব্যবস্থা ও সুন্দর সামাজিক মনোভাব হলো আমাদের মস্তিষ্কের ন্যায়। তাই একে টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের সবার। সমাজে বসবাসরত প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ সামাজিকতা, সভ্যতা ও সভ্য রূপনীতি মানতে বাধ্য থাকবে—এমনটিই স্বাভাবিক। সমাজ সংস্করণের উন্নতি সাধন করার আগে দেশের সভ্যতার ভার বহন করে দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গুণাবলি।

সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে অনেক উদাহরণ রয়েছে। আমরা এখন অনেকটাই ইতিবাচক মনোভাবের পরিবর্তে নেতিবাচক মনোভাব লালন করি এবং চর্চা করি। বিশ্বের সব ক্ষেত্রেই মানুষ এখন অনেক বিষয়ে নেতিবাচক মানসিকতায় ভরপুর। উন্নত দেশগুলো নিজেদের বাচ্চাদের ওইসব নেতিবাচকতা থেকে বের করে আনতে নানা ধরনের নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।

আমরা প্রত্যাশা করি, সমাজের সব নেতিবাচকতা দূর হয়ে একটি স্বপ্নময় পৃথিবী সৃষ্টি হোক। বিশ্বজুড়ে শিশুশিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি দেখা যায় যা প্রতিটি দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তবে সব দেশেরই একটি সাধারণ লক্ষ্য থাকে-শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করা এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করা।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে, যা তাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শিশুদের প্রস্তুত করে তুলছে। ফিনল্যান্ড, জাপান ও সুইডেনের মতো দেশগুলো শিক্ষার ক্ষেত্রে চমকপ্রদ উদাহরণ হিসেবে সামনে চলে এসেছে।

ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কারণ এখানে শিশুদের নৈতিক শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে শিশুদের স্বাধীন চিন্তা করতে এবং সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করা হয়। সেখানে শিক্ষাব্যবস্থা শিশুর ওপর পরীক্ষার চাপ কমিয়ে প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শিশুরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিখতে পারে।

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থাতেও শিশুদের প্রাথমিকভাবে শিষ্টাচার, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং সম্মানের বিষয়গুলো শেখানো হয়। ১৯৯০-এর দশকে জাপান নৈতিক শিক্ষাকে শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পায়। নৈতিক মূল্যবোধের অভাবে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। পরে নৈতিক শিক্ষা পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা আজও কার্যকর হচ্ছে।

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের অভিবাদন জানাতে ছাত্ররা ক্লাসের শুরু এবং শেষে মাথা নত করে নম্রভাবে ‘ওহাইও গোজাইমাস’ (সুপ্রভাত) বা  ‘আরিগাতো গোজাইমাস’ (ধন্যবাদ) বলে। এখানে মূলত বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নম্রতা শেখানো হয়। জাপানের স্কুলগুলোয় ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শ্রেণিকক্ষ এবং স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে। জাপানের স্কুলগুলোয় দলগত কাজ এবং সহযোগিতার চর্চা। মাল্টিমিডিয়া বা পাঠ্যসূচির মাধ্যমে শিশুদের বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন