বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কালো আইন, বাতিল ও নতুন ‘দায়মুক্তি’: কার স্বার্থে?

ডেইলি স্টার শুভ কিবরিয়া প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৬

শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ছিল জবাবদিহিতাহীনতার অন্যতম খাত। এই খাতকেই ফ্যাসিস্ট শাসন তার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সফল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।


পরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহনসহ অন্যান্য খাতে সেটার বিস্তার ও বিস্তৃতি ঘটে। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের এই মডেলটি ফ্যাসিস্ট শাসনের রাজনৈতিক অর্থনীতিকেই শুধু পরিপুষ্ট করেনি, পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই স্বেচ্ছাচারী-দুর্নীতিপ্রবণ করে তুলেছে।


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের এই মডেলের ভিত্তি ছিল একটি কালো আইন। যে আইনটি সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থীই শুধু নয়, বরং সেটি ছিল জনস্বার্থক্ষুণ্নকারী ও দেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বিনাশকারী।


এই কালো আইনই শেখ হাসিনার সরকারের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার অন্যতম মালমসলা যোগানদারী উপাদান। এই কালো আইনকে প্রতিষ্ঠা ও বারংবার তার মেয়াদ বাড়ানোর মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ শক্তিমান হয়ে ওঠে।


ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দ্রুতই এই কালো আইন বাতিলের দাবি ওঠে। সরকার কিছুটা কালক্ষেপণ করে। ইতোমধ্যে এই আইনের দুটি জনস্বার্থবিঘ্নকারী ধারা উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং আদালত তা বাতিল করে। পরে সরকার এই আইনকে রহিত বা বাতিল করে অধ্যাদেশ দেয়। কিন্তু সেই অধ্যাদেশে এমন দুটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করে, যা পূর্বের আইনের চেয়েও ভয়ংকর। এটা শুধু জনস্বার্থক্ষুণ্ণই করেনি, বরং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার মূল স্পিরিট ও আকাঙ্ক্ষাকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।



কিন্তু ড. ইউনূসের সরকার এই জনস্বার্থ পরিপন্থি অবস্থানে কেন? এটা কি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতিপ্রবণ অলিগার্ক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা? নাকি, এর অন্তরালে আছে এই সরকারকে অজনপ্রিয় করে বিপথগামী করার কোনো অন্তর্ঘাতমূলক আমলাতান্ত্রিক প্রচেষ্টা?


সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখি এই দায়মুক্তির আইনে আসলে কি ছিল এবং বাতিলের পর কী দাঁড়াল।


কালো আইন: ইতিহাস ও বিবর্তন


এই আইন 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৪ নং আইন)' নামে পরিচিত হলেও জনপরিসরে এটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের 'দায়মুক্তির আইন' হিসেবে কুখ্যাতি পায়। ২০১০ সালে ২ বছরের জন্য এই আইন প্রণীত হলেও পরে চার দফায় ১৬ বছর এই আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়।


এই আইনের পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার উপশিরোনামে ৬ (২) উপধারায় বলা আছে, উপ-ধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


অর্থাৎ প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার বা দর প্রস্তাবের বাইরে গিয়ে সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে মন্ত্রীর সম্মতিক্রমে কাজ দেওয়া যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও