লুজ কানেকশন মেরামত করাই আসল কাজ
রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি উঁচু ভবনে কয়েক দিন আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিদ্যুতের লুজ কানেকশন থেকে ওই ঘটনার সূত্রপাত বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই লুজ কানেকশন মেরামত করাসহ সচিবালয়ে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের। তাতে বোঝা গেল যে সরকার তদন্ত কমিটির ওই প্রতিবেদন যথার্থ বলে মেনে নিয়েছে। তবে জনপরিসরে ওই প্রতিবেদন যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে বলে মনে হয় না।
কারণ, ওই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে সর্বত্রই কিছু কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা হয়। তার মধ্যে যতগুলো শুনেছি তাতে তদন্ত প্রতিবেদনটি মানুষ বিশ্বাস করতে পারেনি বলে আমার মনে হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে জবাব মেলে না। তার মধ্যে একটি বিষয় হলো, সেখানে একটি কুকুরের পোড়া মৃতদেহ পাওয়া গেছে। হতভাগ্য কুকুরটি কীভাবে আটতলার ওই কক্ষে গিয়েছিল, মানুষ জানে না? দ্বিতীয় হলো, সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়েছিল যে পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে গানপাউডার ছড়ানো ছিল। যদি তা না-ই হয়, এমন একটি খবর এল কী করে? সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কি সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল? কেউ জানে না। অবশ্য বিদ্যুতের লুজ কানেকশন যে থাকতে পারে এবং তা একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণও হতে পারে, সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণের কোনো কারণ নেই।
- ট্যাগ:
- মতামত
- অগ্নিকাণ্ড
- তদন্ত কমিটি