১০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল তার প্রতিবেশী দেশটির বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক বিমান হামলা শুরু করে। ‘বাশান অ্যারো’ নামে অভিহিত এই অভিযানে ইসরায়েলের ৩৫০টি যুদ্ধবিমান দামেস্ক থেকে তারতাস পর্যন্ত ৩২০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে।
বিমানঘাঁটি, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, স্কাড মিসাইল ব্যাটারিজ, ড্রোন ব্যবস্থা, নৌজাহাজের রাডার সিস্টেম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এই হামলায় সিরিয়ার কৌশলগত সামরিক সম্পদের ৭০ শতাংশই ধ্বংস হয়েছে। ফলে সিরিয়ায় ভাগ হয়ে যাওয়া ও দেশটিতে বৈশ্বিক খেলোয়াড়দের প্রভাব বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই আক্রমণাত্মক অভিযান বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইসরায়েল ও আসাদ সরকারের কৌশলগত বোঝাপড়ার পটভূমি থেকে এটাকে বিচার করা প্রয়োজন। আসাদের আমলে ইসরায়েল দখলকৃত গোলান মালভূমিতে তার স্বার্থ রক্ষা করে গেছে। সম্পর্ক থাকলেও ইসরায়েল আসাদকে একজন সমস্যাজনক প্রতিবেশী হিসাবে দেখত।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বিমান হামলা
- কুর্দি যোদ্ধা