ব্রণের দাগ দূরে করতে যা করতে পারেন
ত্বকের লোমকূপে ময়লা, ধুলাবালি জমে দেখা দেয় ব্রণ। ত্বক থেকে ব্রণের দাগ ওঠাতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। সঠিক যত্নে ব্রণের দাগ কমানো যায়। তবে ব্রণে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতে ব্রণের দাগ আরো গেড়ে বসে।
ব্রণ এড়াতে স্ক্যাল্প, চিরুনি, বালিশের কভার, তোয়ালে সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে রূপ বিশেষজ্ঞ বা স্কিন এক্সপার্ট, ডার্মাটোলজিস্টের কাছ থেকে নিজের ত্বকের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে জানুন। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা।
১. ব্রণের দাগ বেশি পুরনো হলে দূর করা একটু কঠিন। কেননা দীর্ঘদিন জমে থাকার কারণে দাগগুলো গাঢ় হয়ে ত্বকের ওপর এঁটে বসে। এসব ক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকায় খুব একটা উপকার পাবেন না। প্রফেশনাল বিউটি ক্লিনিক বা পার্লারে গিয়ে অভিজ্ঞ রূপ বিশেষজ্ঞদের হাতে বায়োহাইড্রা ট্রিটমেন্ট নিলে দাগ দূর হবে।
এই ট্রিটমেন্টে মাইক্রোডার্মাব্রেশন মেশিন ব্যবহার করা হয়। মেশিনের সাহায্যে ত্বকের মৃতকোষগুলো তুলে ফেলা হয়। এর সঙ্গে কিছু ফিলিং ব্যবহার করলে ব্রণের দাগগুলো খুব দ্রুত মুছে যায়। ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে।
২. ব্রণের দাগ তুলতে চাইলে স্ক্রাবিংয়ের জুড়ি নেই।
স্ক্রাবিং তখনই কাজে দেবে যখন নিয়মিত করবেন। অনেক সময় অল্পতেই আমরা হাল ছেড়ে দিই।
মনে রাখতে হবে, ব্রণের দাগ বেশ গভীর হয়, তাই দূর হতে সময় লাগে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই সময় স্ক্রাবিং করার। ঘরে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন স্পট রিমুভ স্ক্রাবার। দুই চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ লেবুর রস ও আধা চা চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন।
এরপর এই স্ক্রাবটি ব্রণের দাগুলোতে লাগিয়ে আলতো হাতে ৩-৪ মিনিট ঘষুন। এই স্ক্রাবটি সংরক্ষণ না করে যখন ব্যবহার করবেন তখন তৈরি করে নেওয়াই ভালো। স্ক্রাবটি ঘষার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩.স্ক্রাবিংয়ের পর প্যাক ব্যবহার করুন। এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, চার চা চামচ লেবুর রস ও চার চা চামচ মধু মিশিয়ে একটু ঘন করে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ব্রণের দাগগুলো ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এই প্যাকের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ব্রণের দাগ
- দাগ দূর