নতুন দল: রাজনীতিতে নতুন কিছু হবে কি?

বিডি নিউজ ২৪ মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৫

রাজনীতি আসলে কোন পথে যাচ্ছে তা নিয়ে মন্তব্য করা সহজ নয় এখন। এখন ক্ষমতায় আছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংবিধানে এমন সরকারের উল্লেখ নেই। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। প্রয়োজন হলো আসল কথা। কাগজে কী লেখা থাকে তা দিয়ে সবসময় সরকার চলতে পারে না। তাছাড়া রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। মানুষের প্রয়োজনটাই হওয়ার কথা রাজনীতির ভিত্তি। কিন্তু যা হওয়ার কথা তা খুব কম সময়ই হতে দেখা যায়। এখনো দেশে কি সব কিছু সব মানুষের প্রত্যাশা মতো হচ্ছে? কেউ হয়তো বলবেন, হ্যাঁ, এত বছরের একটি কর্তৃত্ববাদী স্বেচ্ছাচারী মানসিকতার একটি সরকারের আকস্মিক পতনের পর দেশটি যে চরম অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে পড়েনি, এটাই তো ভালো। দেশ এখন যেভাবে চলছে, তার থেকে খুব ভালো চলার অবস্থা ছিল না, নেইও।


তাই হা-হুতাশ না করে রাজনীতির সদর-অন্দরে একটু নজর ফেরানো যেতেই পারে। আমি প্রায় ৬০ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে আছি। কত ধরনের উত্থান-পতনই তো দেখলাম। পাকিস্তানের মিলিটারি ডিক্টেটর আইয়ুব খানের লৌহদৃঢ় শাসন দেখেছি, দেখেছি তার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে রাজপথেই ছিলাম। আমার জীবনকালেই রাজনীতিতে সম্ভব-অসম্ভব কত কিছুই দেখলাম।


শুরু করেছিলাম বাম ধারা দিয়ে। তারপর একসময় মনে হলো, নাহ, বামদের দিয়ে হবে না। বামেরা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে না। তাছাড়া আমাদের দেশের সাধারণ মানুষও বামদের কাছের বলে মনে করেন না। মানুষের কাছে পৌঁছানোর অদ্ভুত এক সম্মোহনী ক্ষমতা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের। বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য রাজনীতির সঙ্গে থাকার।



আজ প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আওয়ামী লীগ এখন কাঠগড়ায়। চারদিকে নতুন কিছুর প্রত্যাশা। রাজনীতিতেও নতুন কিছু কি হবে? নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমার তো বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, পুরাতন মনটাতে আর সহে না নতুন জ্বালাতন। না, আমি নতুন কিছু না চাইলেই তা হবে না, তেমনটা অবশ্যই নয়।


নতুনের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতেই হয়, হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির সমন্বয়ে একটি নতুন দল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাচ্ছি। সংবাদপত্রেও নতুন দল নিয়ে খবর ছাপা হচ্ছে। যতদূর জেনেছি, নতুন দলের মূল লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং রাষ্ট্র কাঠামোর পুনর্নির্মাণ। যদিও দলটির নাম, গঠন প্রক্রিয়া ও নেতৃত্ব এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটি তরুণ নেতৃত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে মধ্যপন্থার আদর্শ নিয়ে রাজনীতির নতুন আঙ্গিকে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে চায় বলেই ধারণা করা যাচ্ছে।


জাতীয় নাগরিক কমিটি, সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন দল গঠন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরাসরি সংযুক্তি না থাকলেও, এর নেতাকর্মীরা নতুন দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। দলটির লক্ষ্য হলো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন একটি রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠা করা। এ উদ্দেশ্যে দলটি সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান অনুসন্ধান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও