মেঘের ঠিকানায় চিম্বুক পাহাড়
যতদূর চোখ যায় সফেদ মেঘ। বিস্তৃত চিম্বুক রেঞ্জে মেঘের সম্ভাষণ থাকে সারা বছরই। তবে সদ্য বিদায়ী হেমন্তের চিম্বুক পর্যটকদের বিমোহিত করেছে।
ভোর থেকে শুরু করে মধ্য দুপুর চিম্বুক রেঞ্জের এপার ওপার মেঘের উপস্থিতি। চিম্বুক ছুঁয়ে যারা নীলগিরি, থানচি, রুমার দিকে যাচ্ছেন- পথ চলতে চলতে তাদের মনে হবে- যেন মেঘের ওপরে ভাসছেন।
বান্দরবান শহর থেকে চিম্বুক পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। হেমন্তের মধ্য দুপুরে আরেক পাহাড়িয়া শহর খাগড়াছড়ি থেকে আমাদের যাত্রা শুরু।
খাগড়াছড়ি থেকে চিম্বুকের দূরত্ব ১শ ৫৮ কিলোমিটার। একটানা এত লম্বা ভ্রমণের ক্লান্তি এড়াতে মাঝপথে রাতযাপনের ব্যবস্থা করা হল।
পরদিন সকালেই রওনা হলাম চিম্বুকের উদ্দেশ্যে। অনেকটায় অপ্রচলিত সড়ক ধরে যাত্রা শুরু। রাঙামাটি-বান্দরবান সড়ক এড়িয়ে গ্রামীণ পিচটালা মৃসণ সড়ক ধরে এগিয়ে চলছে আমাদের মটরবাইক।
যারা মটরসাইকেল চালাতে পারেন ভালো, পাহাড়ে ভ্রমণের জন্য তাদের জন্য সেরা মাধ্যম হতে পারে এই দুই চাকার যন্ত্র। গণপরিবহনের সংকট আর বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তি এড়ানো যায় সহজেই।
সুখবিলাস, রাজার হাট, ফুলতলীসহ ‘নস্টালজিক’ জনপদ পেরিয়ে বান্দরবান শহরে পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় লেগেছে।