অর্থনীতির শ্বেতপত্র: দুর্নীতির চক্র ভাঙতেই হবে

প্রথম আলো এম এম আকাশ প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৫

১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তার প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। এ কমিটি গঠিত হয়েছিল গত ২৮ আগস্ট। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও ১১ জন বিশেষজ্ঞকে প্রণয়ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হিসেবে প্রতিবেদনটি ড. ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হয়েছে।


এর পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৮২, অধ্যায় সংখ্যা ৫টি (সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক)। এই ৫টি অধ্যায়ের পরিচ্ছেদসংখ্যা (৫ + ৭ + ৬ + ৫) = ২৩। প্রতিবেদনটি যথেষ্ট পরিশ্রম করে অতি অল্প সময়ে প্রণয়নের জন্য ড. দেবপ্রিয় ও তাঁর টিমকে অবশ্যই আমাদের অভিনন্দন জানাতে হবে। এ প্রতিবেদন প্রণয়নের আগে গত তিন মাসে তাঁরা ১৮টি কমিটি মিটিং, ২১টি পলিসি কনসালটেশন ও ৩টি জনশুনানি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন।


ড. দেবপ্রিয় আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাজে কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এ ছাড়া জনসমক্ষে শিগগিরই ‘উন্নয়ন বয়ানের ব্যবচ্ছেদ’ নামে আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশের প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন। ড. ইউনূস ড. দেবপ্রিয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, রিপোর্টটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষালাভ করতে পারে।



পোর্টের চাঞ্চল্যকর তথ্য


প্রথমেই রিপোর্ট থেকে যে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সব পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেটি হচ্ছেÑআওয়ামী লীগের ১৬ বছরের রাজত্বকালে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯-২০২৩ সালে পাচারকৃত এই ডলারের পরিমাণ সর্বমোট বৈদেশিক সাহায্য ও নিট বৈদেশিক বিনিয়োগের দ্বিগুণের সমান। তারপরও এসব টাকা থেকে সম্ভাব্য যে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে শিক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ ও স্বাস্থ্য ব্যয় তিন গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো।


রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও দেরি করার জন্য এডিপির ব্যয় ৭০ শতাংশ নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি হচ্ছে। এ জন্য ক্ষতির পরিমাণ ১৫ বছরে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। অর্থাৎ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি।


বিশেষভাবে স্টক মা‌র্কেটে দুর্নীতির বিষয়টিও প্রতিবেদনে এসেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ যে বিপন্ন সম্পদ জমা হয়েছে, তা যদি বিপন্ন না হয়ে ব্যবহারযোগ্য হতো, তাহলে তা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল প্রকল্প অথবা ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হতো ব‌লে উল্লেখ করা হ‌য়ে‌ছে।
এ ছাড়া গত দশকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর জন্য যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি হুন্ডি ব্যবহার করে ভিসা কিনেছে, সেখানে বাইরে চলে গেছে প্রায় ১৩ দশমিক ৪ লাখ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুসারে, এই টাকা দিয়ে উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলের জন্য ছয়টি মেট্রোরেল তৈরি সম্ভব হতো।


সামাজিক সুরক্ষা খাতে অনেক বরাদ্দ অদরিদ্ররা পেয়েছেন বলে জানিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে এই অবৈধ প্রাপ্তির হার ছিল ৭০ শতাংশ।


দারিদ্র্য হারের হ্রাস নিয়ে যে দাবি বিগত সরকার করত, সে ব্যাপারে বলা হয়েছে, প্রায় দুই কোটি লোক সম্প্রতি একদম দারিদ্র্যের কিনারায় উপনীতি হয়েছেন। এর অর্থ, মাত্র দুই দিন কাজে না গেলেই তাঁরা দারিদ্র্যের কাতারে নেমে আসতে বাধ্য হবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও