‘এই বুঝি বাবা এলো’, অপেক্ষা করতে করতে বিপর্যস্ত ওরা

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৩

২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর; ১১ বছরের আফসানা মায়ের সঙ্গে ঢাকা আসে। কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে কালো পোশাকধারী এক দল লোক তুলে নেয় মা রেজিয়া বেগম ও আফসানাকে। কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। একটি গোপন কক্ষে নিয়ে আফসানার সামনেই মাকে মারধর করা হয়। দেখানো হয় ভয়ভীতি। পরের দিন আফসানাকে কমলাপুরে ফেলে গেলেও মায়ের খোঁজ মেলেনি এখনও। এভাবেই কেটে গেছে নয় বছর।


গাবতলীর শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে থেকে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার রেজিয়া বেগমকে ওই দিন গুম করা হয়। রেজিয়া বেগম রেজির ছেলে সাজেদুল কবির সাজেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মাকে হারিয়ে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি। আমার ছোট বোন তার স্বাভাবিক জীবনটা হারিয়ে ফেলে। চরম আতঙ্কের মধ্যে পার হচ্ছে তার দিন। মা গুম হওয়ার পর আমাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা, অন্ধকার। বোন আলিয়া কান্না করে বারবার বলতো, আম্মাকে মারছে। ওই ঘটনার পর আমাদের জীবন থেকে আনন্দ যেন হারিয়ে গেছে। এমনকি ঈদের দিনেও কান্নাকাটি হয়েছে আমাদের সম্বল। এখনও আমার বোন কান্না করে, হয়তো মা ফিরে আসবে।’


শুধু আফসানা নয়, গুম হওয়া বাবা-মা কিংবা ভাইকে ফিরে পাওয়ার আশায় এখনও পথ চেয়ে বসে আছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য বলছে, ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬২৯ জন গুমের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে লাশ হয়ে ফিরেছেন ৭৮ জন। গুম থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৯ জন, গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৭৩ জনকে। বাকিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের স্বজনেরা এখনও অপেক্ষায় দিন পার করছেন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও