আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্ন: সমাধানের পথ কী
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বিচার রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদী হামলা ও সামাজিক দাঙ্গার মধ্যে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বছরের মধ্য জুলাই ও আগস্টের প্রথম ভাগে। আর্মার্ড কারের ওপর যুবকের লাশ, রিকশার পাদানিতে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তরুণের আকুতিময় চোখ, হেলিকপ্টার থেকে বাছবিচারহীন গুলিতে শিশুর মৃত্যু...মানুষের জীবন যেন মূল্যহীন, জীবন নেওয়া যেন ভিডিও গেমসের মতো খেলা!
সে সময়ের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা এবং সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ও জোরালো নির্দেশ ছাড়া হাজারো মানুষকে হত্যা ও গুরুতর আহত করার সম্ভাবনা কম। তাই শেখ হাসিনা, তাঁর সরকার এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু বিচার জরুরি। এই বিচারে গাফিলতি বা ঢালাও হত্যা মামলা দেওয়া হবে, এ ঘটনাকে হালকা করে ফেলার শামিল।
হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে। ২৩ জুন ১৯৪৯ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে এ দলটির জন্ম। ১৯৫৫ সালে মাওলানা ভাসানীর উদ্যোগে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করতে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আওয়ামী লীগ গত দেড় দশকে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে, তা শুধু দুঃখজনক নয়, বরং বিচারযোগ্য।