লক্ষ্য অর্জনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শ্বেতপত্র প্রণয়নের কাজ শেষ চাই
‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের’ সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৯ আগস্ট, ২০২৪। কমিটির কার্যপরিধি ‘প্রজ্ঞাপনে’ উল্লেখমতে বর্ণিত শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং এলডিসি থেকে উত্তরণে করণীয় বিষয়ে প্রতিফলন থাকবে। প্রজ্ঞাপনে শ্বেতপত্র প্রণয়নের সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।’
এরই মধ্যে ছয় সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকাররের প্রথম দিকের সিদ্ধান্তগুলোর অন্যতমটি হলো রাজনৈতিক-অর্থনীতির সুরতহাল রিপোর্ট জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়নের এ উদ্যোগ। এটি অনিবার্য স্রেফ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থবাদিতা তথা রাজনৈতিক কারণে বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এমন কিছু ধকল সহ্য করতে হয়েছে, যাতে স্বয়ং গণতন্ত্রের উত্তরণের রাজনীতি যেমন জটিল হয়েছে, তেমনি অর্থনীতি আপতিত হয়েছে বিপর্যয়ের মুখে। বিগত দেড় দশকে অর্থনীতিতে প্রচারসর্বস্ব রেন্টসিংকিং উন্নয়নের ধান্দাকে উপায় ও উপলক্ষ বানিয়ে রাজনৈতিক ডাল হিসেবে ব্যবহার করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার, বিদেশনির্ভরতার নীতি-কৌশলকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বিভেদ-বিভাজনের স্বীকার হয়েছে প্রশাসন, দলীয়করণ ও দুর্নীতির থাবায় নিরুদ্দিষ্ট হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থার কার্যকারিতা। জাতীয় গৌরব ও উন্নয়নের অভিলাষকে দলীয় বাতাবরণে সংকীর্ণ ও সংকটাপন্ন করা হয়েছে।