আবহাওয়ার ‘অশান্তি’ কি মানবজাতিকে অশান্ত করে দিচ্ছে

প্রথম আলো ড. আশরাফ দেওয়ান প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০৭

জাপানে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের কাছে সুন্দর আবহাওয়ার দিনটি খুবই আনন্দের। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে দিনটি সবাই ভীষণ উপভোগ করে।


অন্যান্য সংস্কৃতিতেও এমনটা থাকতে পারে।


বৈরী বা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মকে যেমন ব্যাহত করে, তেমনি মানসিকভাবে সে নিরানন্দ বোধ করে।


সুতরাং দৈনন্দিনের আবহাওয়া মানুষ ও তার পারিপার্শ্বিকতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।


অনিয়ন্ত্রণযোগ্য বৈশ্বিক উষ্ণায়নে আবহাওয়ার ‘অশান্তি’ মানবজাতির দুর্দশা কি বাড়াচ্ছে? এমনটাই আভাস দিয়েছে জার্মান পররাষ্ট্র অফিস।


জলবায়ু, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উপাত্তের সংমিশ্রণে একটি সর্বজনীন সূচকের মাধ্যমে তারা জলবায়ুর পরিবর্তনে বিশ্বে সামাজিক অস্থিরতা ও সংঘাতের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে চিহ্নিত করেছে। তাদের গবেষণা বলছে, পরিবর্তিত জলবায়ুতে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, হিন্দুকুশ ও হিমালয় অঞ্চল, দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় সামাজিক উত্তেজনা–অস্থিরতার তীব্রতা বাড়বে বা অব্যাহত থাকবে।


একসময় বৈশ্বিক আবহাওয়া নিয়ম মেনে চলত। অর্থাৎ জলবায়ু ছিল ‘স্থিতিশীল’।


পরিবেশের ওপর মানুষের মাত্রাতিরিক্ত খবরদারি ও জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহারে জলবায়ুর স্থিতিশীলতা এখন নেই, ফলে উষ্ণায়নের হার নিত্যনতুন রেকর্ডের জন্ম দিচ্ছে।



যেমন ২০২৩ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।


সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০০০-২০১৯ সালে চরম ও বৈরী আবহাওয়ার দরুন বিশ্বে ২ দশমিক ৮৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এর মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত নির্গমন।


চরম আবহাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্ব অর্থনীতি প্রতি ঘণ্টায় হারাচ্ছে ১৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০ বছরে মোট ১৮৫টি চরমতম আবহাওয়ার ঘটনায় বিশ্বে ৬০ হাজার ৯৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।


অন্যদিকে মোট অর্থনৈতিক ক্ষতির ১৬ শতাংশ ছিল তাপপ্রবাহ–সম্পর্কিত, ১০ শতাংশ বন্যা ও খরা আর ২ শতাংশ ছিল দাবানলের কারণে।


আন্তর্জাতিক থেকে স্থানীয় পর্যায়ে উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মপন্থা নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে, কিন্তু তাপমাত্রার বৃদ্ধি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।


এমন অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বৈরী আবহাওয়ায় বিশ্ব হারাবে বছরে ৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।


এ তো গেল অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কথা। এ ছাড়া পরিবর্তিত জলবায়ু বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অস্থিরতা, শ্রেণি-গোষ্ঠী সংঘাত ও আন্তরাষ্ট্রীয় তিক্ততা বাড়াচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও