গাজা যে কারণে একুশ শতকের প্রাণঘাতী যুদ্ধ
‘দক্ষিণ আফ্রিকা তখন কোথায় ছিল, যখন সিরিয়া ও ইয়েমেনে লাখ লাখ মানুষ নিহত হচ্ছিল?’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বছরের জানুয়ারি মাসে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। কারণটা খুব সোজা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা গত ২৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হন নেতানিয়াহু। সে সময় তিনি আরও দাবি করেন, ‘না, দক্ষিণ আফ্রিকা, গণহত্যার অপরাধ আমরা করিনি, করেছে হামাস। তারা পারলে আমাদের সবাইকে হত্যা করত। বরং ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স যতটা সম্ভব নৈতিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর ৭ অক্টোবরের ঘটনা। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কয়েক শ বন্দুকধারী গাজা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ইজরায়েলি নাগরিক হত্যা করে, যার বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এ ছাড়া ২৫৫ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে পরদিন থেকেই ইসরায়েল গাজায় প্রথমে বিমান হামলা চালায়। এরপর স্থলাভিযান শুরু করে। সমুদ্রপথেও হামলা হয়। এভাবে হামাসের সঙ্গে এক অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর উন্মত্ততায় সেই থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে ইতিমধ্যে ১১ মাসে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল; যার প্রায় ১৭ হাজার শিশু। সিংহভাগই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫ হাজার গাজাবাসী ফিলিস্তিনি। এরপরও ইসরায়েল ও তার মিত্রদেশগুলো একে গণহত্যা মনে করে না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- গাজা
- গাজায় মানুষ হত্যা
- গাজায় হামলা