শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে
অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নাকি বন্ধ তা স্পষ্ট নয়। কারণ সেগুলোয় প্রাশাসনিক বডি অনুপস্থিত। ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না, শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো হলে থাকছে। অভিভাবকহীন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থা প্রলম্বিত হলে বাড়বে নানা পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রশাসনকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তাই আপাতত কাজ চালানোর মতো হলেও প্রশাসন সচল করার উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
শিক্ষা উপদেষ্টা এ সংকট নিরসনে কঠোর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু এত ব্যাপক ও বিস্তৃত কর্মপরিসরে স্বল্পসময়ে হাজারো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাছাড়া তার দপ্তরে ‘কাজের লোক’ খুব একটা অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। কারণ বিগত দিনগুলোয় তাদের কিছু চিন্তা বা সৃষ্টি করতে হতো না। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট নীতি ও সিদ্ধান্তগুলো অন্য কোথা থেকে নাজিল হতো। তারা শুধু পোস্ট অফিসের দায়িত্ব পালন করতেন। ফলে চিন্তা করার অভ্যাস হারিয়ে ফেলা কর্মকর্তাদের কাছে কোন মানের আউটপুট পাবেন তা সহজেই অনুমেয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নৈরাজ্য
- শিক্ষাঙ্গন