যে অনিয়ম বছরের পর বছর ধরে চলে এবং কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়ে না, সেই অনিয়ম একসময় নিয়মানুবর্তিতার মর্যাদা পায়। সেটি যে অনিয়ম, তা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। অনিয়ম নিয়ম হয়ে ওঠে। অনিয়মে জড়িত সব পক্ষের যাবতীয় অপরাধবোধ লুপ্ত হয়। তখন তারা অপরাধবোধ ও আত্মগ্লানির অনলস্পর্শ ছাড়াই অপরাধ-অনিয়ম সংঘটনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
সুন্দরবনের বন কর্মকর্তাদের এমন দশা দৃশ্যমান হয়েছে। সেখানে তাঁরা বনজীবী জেলেদের নৌকা নিয়ে বনে প্রবেশের অনুমতিপত্র (বিএলসি) নবায়ন করার সময় নির্ধারিত রাজস্বের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি অর্থ ঘুষ হিসেবে নিচ্ছেন। হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার ও কাঁকড়া ধরার অলিখিত অনুমতি পেতে জেলেরা বনকর্মীদের এই ঘুষ দিয়ে বনে প্রবেশ করছেন। এই ঘুষের ‘রেওয়াজ’ এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো লুকোছাপা নেই।