১৫ বছরে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল হয়নি, এবার হবে?

ঢাকা পোষ্ট এস এম নাজের হোসাইন প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৪

বিপুল পরিমাণ ছাত্র-জনতার তাজাপ্রাণের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাত্রা শুরু করে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৫ আগস্ট যখন শেখ হাসিনা সরকার বিদায় নেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন সাধারণ মানুষ আশায় বুক বেঁধেছেন—এই সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে।


শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট ও অধিক মুনাফা করে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেলেও সরকারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া ছাড়া কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। আয়ের পুরোটাই চলে যেত পরিবারের ৩ বেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।


মাস শেষে বেতনের টাকায় পুরো মাস চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। প্রতি মাসেই ধারদেনা করেই সংসারের অন্যান্য খরচ চালাতে হয়েছে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম মৃত্যুকে পরোয়া না করে গণবিপ্লব ঘটিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে।



তাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের অন্যতম প্রত্যাশা হলো ছাত্র-জনতা যেভাবে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করেছে ঠিক একইভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার অতিদ্রুত নিত্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও কারসাজি বন্ধ করে পণ্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় নিয়ে এসে মানুষকে স্বস্তি দেবে।


শেখ হাসিনার সরকার টানা তিন মেয়াদেরও বেশি ক্ষমতায় ছিল। প্রতিবারই আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিত্যপণ্য মূল্য কমিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার নানা প্রতিশ্রুতি ছিল। সবশেষ দায়িত্ব গ্রহণের সময়ও সরকারের অগ্রাধিকার কাজের মধ্যে নিত্যপণ্য মূল্য সহনীয় রাখার নানা প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনা ছিল।



বিশেষ করে দেশের মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানো, ঘরে ঘরে চাকরির ব্যবস্থা করা, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতসহ নানা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ক্ষমতা আরোহণের পরেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সরকার হয়ে যায় ব্যবসায়ীবান্ধব, এমনকি জাতীয় সংসদের সিংহভাগ সদস্যই ব্যবসায়ী মনোনয়ন দিয়েছিলেন।


সিটি করপোরেশনের মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় নেতা নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। ফলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আর রক্ষা করতে পারেনি। সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা লুটপাট বাণিজ্য করে তাদের মতো করে চেটেপুটে খেয়ে বিদেশে টাকা পাচার ও ব্যাংক লুটে ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও