জনগণের আন্দোলনের ওপরে সংস্কার নির্ভর করবে

প্রথম আলো সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩৮

প্রথম আলো: নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক সংগঠন আছে। তারপরও আপনারা ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’ নামে নতুন সংগঠন করলেন কেন?


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: কারণ, অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে এবং ছাত্র ও জনতার মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রত্যাশা জেগে উঠেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এ সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা আবশ্যক। গণতান্ত্রিক অধিকার বলতে আমরা বুঝি—১. অধিকার ও সুযোগের সাম্য; ২. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং ৩. রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে প্রকৃত ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা। এটি সম্ভব একটি সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করতে চাই।


প্রথম আলো: এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে যে গণ–অভ্যুত্থান ঘটল এবং আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো, তার সঙ্গে আগের গণ–আন্দোলনগুলোর পার্থক্য কী ছিল?


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: প্রথম পার্থক্য স্বতঃস্ফূর্ততা ও ব্যাপক অংশগ্রহণ। এ অভ্যুত্থান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ঘটেনি, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ অভ্যুত্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে বটে, কিন্তু ‘অভ্যুত্থানটি ঘটেছে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন দমনে এমন নৃশংসতা আগে কখনো দেখা যায়নি। তৃতীয়ত, মানুষের প্রতিরোধও ছিল অসামান্যরূপে ঐক্যবদ্ধ ও দুঃসাহসী। চতুর্থত, অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধিতা ছিল অভ্যুত্থানের মূল চালিকা শক্তি।



প্রথম আলো: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: প্রথম প্রত্যাশা, মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা ও আবহাওয়া তৈরি হয়েছে, তাকে মর্যাদা দেওয়া ও স্থায়ী করা। এরপর অনেকগুলো প্রত্যাশা আছে, যেমন অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দান; যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ও মানুষকে আহত করেছে, সেই অপরাধীদের আইনি ব্যবস্থার অধীন আনা; পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে যে অপরিমেয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তার লাগাম টেনে ধরা; সম্পদ পাচার, লুণ্ঠন ও দুর্নীতি বন্ধ করা; কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চতকরণ, সব ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া; পুঁজিবাদী উন্নয়নের ধারা পরিহার করে উন্নয়নকে সামাজিক মালিকানার অভিমুখী করার নীতি গ্রহণ।
প্রথম আলো: অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছে। কতটা সংস্কার করতে পারবে বলে মনে করেন? এ বিষয়ে আপনাদের কোনো পরামর্শ বা প্রস্তাব আছে কি?
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: কতটা সংস্কার সম্ভব, সেটা নির্ভর করবে জনগণের আন্দোলনের ওপর। সরকারের প্রতি আমাদের পরামর্শ দ্রত পদক্ষেপ নেওয়ার এবং আমাদের নিজেদের মূল কর্তব্য হবে জনগণকে সচেতন করে তোলা। মৌলিক পরিবর্তন এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়; তবে সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরের যে অঙ্গীকার সরকার নিয়েছে, তার বাস্তবায়ন তো অবশ্যই করতে হবে।


প্রথম আলো: ২০০৭ সালে সেনা–সমর্থিত সরকারও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছিল। শেষ পর্যন্ত তারা প্রকৃতপক্ষে কোনো সংস্কার করতে পারেনি। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কী?


সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: নিশ্চয়তা একটাই। সেটা হচ্ছে জনমত। জনমতকে সুসংগঠিত ও সুশিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব গণতন্ত্রকামী সব সংগঠনের এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও