‘কোটা আন্দোলন ২০২৪’ কী শিক্ষা দিল

প্রথম আলো এম এম আকাশ প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৩:১২

২০১৮-এর প্রথম পর্যায়ের কোটা আন্দোলনের মূর্ত পাঁচ দফা দাবিগুলো ছিল:


১. কোটার সংস্কার করে এর মাত্রা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।


২. কোটা পূরণের জন্য যোগ্য প্রার্থী (অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থী) না পাওয়া গেলে সেখানে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদ শূন্য রাখা যাবে না।


৩. কোটায় নিয়োগের জন্য আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা যাবে না।


৪. সরকারি চাকরির জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে। এবং


৫. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।


প্রথমে ১৩ মার্চের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য একটি আলটিমেটাম দেওয়া হয়। তারপর আবার ৯ এপ্রিল কয়েক হাজার সমর্থক কর্মী গণপদযাত্রা করে বেলা তিনটায় শাহবাগে এসে জমা হন। কিন্তু সেদিন সরকারি বাহিনী ওই জমায়েতকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পরে আন্দোলন থেমে না গিয়ে আরও তীব্র হয়ে ওঠে।


কিছুতেই যখন এই আন্দোলন থামানো যাচ্ছিল না, তখন ১১ এপ্রিল সংসদে সব ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভবত এটি ‘আবেগপ্রসূত’ বা ‘বিরক্তিবশত’ একটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি নিজেও পরে স্বীকার করেছেন।


২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়


জাতীয় সংসদে সব রকম কোটা বাতিলের ঘোষণার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে যে নির্বাহী পরিপত্র জারি করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা হাইকোর্টে একটি রিট করেন। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই কোটা পরিবর্তনের পরিপত্রটিকে বাতিল করে দেন। ফলে সব ধরনের কোটা আবার পুনর্জীবিত হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। এই আপিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়ার প্রথম তারিখটি ঠিক হয় ৪ জুলাই।


সরকারের একটি নির্বাহী আদেশ বাতিল করা বা জারি রাখা সাধারণভাবে সরকারেরই সিদ্ধান্ত। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আদালতে যাওয়ার আগেই সরকার নিজে অগ্রসর হয়ে কোটা একদম বাতিল না করে এর একটি যৌক্তিক সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে পারত। কিন্তু এই ‘সহজ-সরল’ পথ না নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা ও আদালতের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দেয়। তারা ছাত্রদের ক্ষোভের মাত্রা ও গভীরতা মোটেও বুঝতে পারেনি।


৪ জুলাই আদালত যখন শুনানি আরও এক মাস পিছিয়ে দিলেন, তখন ছাত্রদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হতে থাকে। ৬ জুলাই কোটাবিরোধীরা অবশেষে সারা দেশে ‘বাংলা বন্ধের’ ডাক দেন। সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, পরীক্ষা বর্জন ও সাধারণ ছাত্রধর্মঘটের আহ্বান জানান। গত ১১ জুলাই ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটাবিরোধীরা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে যে শক্তি প্রদর্শন করছেন, তা বেআইনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছেন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও