দেরিতে কামান দাগা ও রং ট্রিগারের প্রভাব

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:২২

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ১ জুলাই ২০২৪ ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয়। এক সপ্তাহ না পেরুতেই এর সমর্থন ও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে যায়। কিন্তু জুলাই ১৬ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। রংপুরে বেরোবি-র একজন ছাত্রকে একা পেয়ে কাপুরুষের মতো খুব কাছ থেকে বুলেটবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এটাই ছিল প্রথম রং ট্রিগার। এরপরও ক্রমাগত দম্ভ, উপেক্ষা, অবহেলার মাধ্যমে কালক্ষেপণ করায় এটা ভিন্নদিকে গড়িয়ে গেছে। তার ওপর বিভিন্নভাবে তকমা দিয়ে টিজিং, বুলিং করে এটাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


কোটা সংস্কার আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি দেখে কর্তৃপক্ষের যখন সম্বিত ফিরে এলো-ততক্ষণে ‘রোম পুড়তে শুরু করেছে।’ একটি হঠকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হঠাৎ একযোগে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন বন্ধ ঘোষণা ও আবাসিক হলগুলো খালি করে দিলে শিক্ষার্থীরা বজ্রাঘাতের মতো দিশেহারা হয়ে তাদের থাকার জায়গা অন্বেষণের জন্য হন্যে হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যে যেখানে পারে সেখানে ঠাঁই নিতে উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠে। সেসময় রাজধানী ঢাকার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের বাসায়, মেসে, সস্তা হোটেলে তারা ঠাঁই নেয়। সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য, পানীয়, শৌচাগার ও ঘুমানোর জায়গার অভাবে বিষিয়ে উঠে তাদের মন। সেখানে অবস্থান করে তারা আরো সংগঠিত হয়ে পরদিন ভয়ংকর হয়ে ওঠে।


এদিকে মওকা বুঝে তাদের সাথে যোগ দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। কর্তৃপক্ষ শক্তির ভারকী প্রদর্শনের জন্য তাদের বিপক্ষে আরো হার্ড লাইনে যাওয়ার ঘোষণা দিলে দেশের সিংহভাগ জনগণ আরো উত্তেজিত হয়ে একসঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়ে। দিকে দিকে খর্ব হয়ে যায় তাদের ঠেকানোর শক্তি। এই আন্দোলন ঠেকানোর জন্য নেতাদের ‘ছাত্রলীগ একাই যথেষ্ট’বলে যে উন্নসিকতা ও দম্ভ দেখানো হয়েছিল তা বাস্তবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তারা ঠেকাতে পারলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।


কোটা সংস্কার আন্দোলনের গতি আরো ভয়াবহ ও মারমুখী হয়ে উঠলে জুলাই ১৭, ১৮ তারিখে দেশের রাস্তা-ঘাট অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু অচল হয়ে পড়লে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও ছাত্রলীগ ঢাকার রাজপথে ও সারাদেশের অলিতে গলিতে একযোগে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া মারামারি শুরু করলে চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।


১৯ জুলাই আন্দোলনের গতি আরো বেপরোয়া হয়ে পুড়তে থাকে বিটিভি ভবন, টোলবক্স, পুলিশ বক্স, সেতু ভবন ইত্যাদি। সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আগুন জ্বলে ওঠে। আইন ও আধাসামরিক বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে আন্দোলন ঠেকাতে মরিয়া হয়েও অপর্যাপ্ত প্রতীয়মান হয়ে উঠলে সান্ধ্য আইন জারি করা হয। জুলাই ১৯ তারিখ মধ্যরাতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে।


এরপর থেকে দেশে সান্ধ্য আইন চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। তবে সান্ধ্য আইনের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় মারামারি ও থানায় আক্রমণ চলছে। জুলাই ২১ তারিখে সান্ধ্যআইন জারির ভেতরেই সরকারীভাবে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে কোটা সম্পর্কিত ২০১৮ সালে পরিপত্র ফিরে আনার আবেদন করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে সারাদেশে ইন্টারনেট ও ফোরজি মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও