মানুষের বুকের ক্ষত দূর হবে কীভাবে

প্রথম আলো আসিফ নজরুল প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪, ২৩:৩৯

সারা দেশে গত কয়েক দিন যাবৎ ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিকল হয়ে পড়ায় তথ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার একতরফা ভাষ্য প্রচার করতে পারছে। সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সব দাবি পূরণ হয়ে গেছে, ছাত্রদের হৃদয় প্রশান্ত হয়েছে, এখন যে ক্ষোভ বা নাশকতা চলছে, তা কেবলই বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীর তৎপরতা।


এটি অনেকাংশে সঠিক নয়। উচ্চ আদালতের যুক্তিসংগত রায়ের মাধ্যমে ছাত্রসমাজের কোটা সংস্কার দাবিটি পূরণ হয়েছে বলা যায়। কিন্তু এর মধ্যে এ দাবি পূরণের পথ তাদের সহযোদ্ধা ও সহপাঠীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, বহু ছাত্রসহ দেড় শতাধিক মানুষ জীবন হারিয়েছেন, আরও অনেক বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে আহত মানুষ পুনরায় আক্রমণের শিকার হয়েছেন।


কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রসহ তাদের সমর্থকদের ওপর এ নির্বিচার আক্রমণ করেছে সরকারি দলের সংগঠন ও সরকারের বাহিনীগুলো এবং এসব আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে সরকারি দলের নেতাদের নির্দেশ বা উসকানিতে—এমন সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে।


এসব ঘটনা নিয়ে সরকারকে আদৌ বিচলিত মনে হচ্ছে না। সরকার বরং এসব নির্মম ঘটনাকে আড়াল করে সরকারি স্থাপনাগুলোতে নাশকতার বিষয়টি ফলাওভাবে প্রচার করে পুরো দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

এটি পরিপূর্ণ সমাধানের পথ হতে পারে না। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, নিপীড়ন করে সাময়িকভাবে দমন করা যায়, কিন্তু তার বুকের ক্ষত মোচন করা যায় না। মানুষের বুকে রয়েছে রংপুরের আবু সাঈদের বুকে পুলিশের গুলি চালিয়ে হত্যার মতো বহু দৃশ্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের লাঠিপেটা, রক্তাক্ত ও লাঞ্ছিত করার বহু টুকরা স্মৃতি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে নামানোর প্রকাশ্য নির্দেশ।


সরকারকে এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে, নিজের দায় স্বীকার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ফিরে এলে তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।


সরকারকে, বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের ওপর নিপীড়ন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। এত রক্তপাত ও অত্যাচারের পর এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা মো. নাহিদ ইসলামকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে নির্যাতনের যে সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ কর্মীরা কীভাবে সরকারের প্রতি আস্থা ফিরে পাবে?


কোটা সংস্কারের দু-একজন নেতা আন্দোলন সমাপ্তি হয়েছে বলে ঘোষণা করছে। নাহিদের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এটি তারা চাপের মুখে বা নির্যাতনের ভয়ে বাধ্য হয়ে করছে বলে ছাত্রদের মনে হতে পারে। এ নির্যাতন অন্যদের ওপরও করা হচ্ছে না বা ভবিষ্যতে প্রয়োগ করা হবে না—এ বিশ্বাস তাদের মনে কীভাবে আসবে, কীভাবে তাদের উদ্বেগ দূর হবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও