একযোগে হামলা কার ইশারায়?

ঢাকা পোষ্ট আদিত্য আরাফাত প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬

শুধু সরকারি চাকরি প্রত্যাশী নয়; আমজনতার অনেকেও মনে করে কোটা পদ্ধতিতে সংস্কার প্রয়োজন। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থন করেছে দেশের বেশিরভাগ মানুষ। আন্দোলন দ্রুতই জনদাবিতে রূপ নেয়। রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। দাবি আদায়ে স্লোগানে মুখর হয় ক্যাম্পাস। রাজপথ দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা।


শেষ পর্যন্ত এ আন্দোলন শিক্ষার্থী আর সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের হাতে থাকলো না। আন্দোলন যখন জমে উঠছিল তখন এ আন্দোলনে চোখ পড়ে নেপথ্যে থাকা সুযোগ সন্ধানীদের। এসব সুযোগ সন্ধানীরা শিক্ষার্থী আর চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের সঙ্গে সুকৌশলে মিশিয়ে দেয় একদল বিপথগামী কিশোর-যুবকদের।


এসব উচ্ছৃঙ্খল কিশোর-যুবক আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ক্ষুব্ধ করে তাদের। নেপথ্যে যারা কলকাঠি নেড়েছে তারা বুঝেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খ্যাপিয়ে না তুললে এ আন্দোলন জমবে না।


এর করুণ পরিণতি ভোগ করে একদল নিরীহ শিক্ষার্থী আর পথচারী। একের পর এক নিরীহ শিক্ষার্থী আর পথচারী বুলেটে রক্তাক্ত হয়। পরিস্থিতি সমাধানের বদলে সংঘাতের দিকে চলে যায়। ঠিক এমনটাই চেয়েছিল নেপথ্যের হোতারা। যারা বসেছিল এমন এক মোক্ষম আন্দোলনকে পুঁজি করতে।


বুলেটে নিহত যেসব নিরীহ শিক্ষার্থী আর মানুষ মারা গেছে সেসব সন্তানহারা বাবা-মায়েরা এ ক'টা রাত কীভাবে পার করেছে জানি না। কারও কারও একটি মাত্রই সন্তান ছিল। এ শোকের কোনো ভাষা নেই।


গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের রাজধানীর রাজপথে থাকতে হয়েছে। কখনো কাছ থেকে কখনো কিছুটা দূরে থেকে দেখেছি একের পর এক নারকীয় তাণ্ডব! আন্দোলন সহিংসতায় রূপ পাওয়ায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সরে যায়। পুলিশ পেটানো, গণমাধ্যমের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস দেখে একপর্যায়ে শিক্ষার্থী আর আন্দোলনকারী চাকরি প্রত্যাশীরা নিজেদের গুটিয়ে নেয়।


এ আন্দোলনকে পুঁজি করে শেষদিকে এক যোগে ধ্বংসযজ্ঞে মেতেছিল দুর্বৃত্তরা। একে একে পুলিশ বক্স, সরকারি অফিস, উড়াল সেতু, গণমাধ্যমের গাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পিটিয়ে প্রাণে শেষ করে ফেলে অনেককে। মানুষের মোবাইল মানিব্যাগ ছিনতাইয়ে মেতেছিল নাশকতাকারীদের কেউ কেউ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও