মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতখানি?
মাঙ্কিপক্স বা 'এমপক্স' নিয়ে উদ্বেগের নতুন কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে কারণ ভাইরাসজনিত এই রোগটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই এখনই এই ভাইরাসটির বিষয়ে বিশেষ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
কঙ্গোয় দাবানলের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ১৪ আগস্ট সংস্থার তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু।
২০২২ সালের জুলাইয়ে মাঙ্কিপক্সের একটি ধরন ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছুসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সেই প্রাদুর্ভাবের সময় সাতাশি হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হন ও সেই সময় এ রোগে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৪ এর শুরু থেকে শুধু কঙ্গোতে এমপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি ও এ রোগে এখন পর্যন্ত ৫২৪ জনের অধিক মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে এটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ও ১৬ আগস্ট পাকিস্তানে এমপক্স ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি উপসাগরীয় দেশ থেকে এসেছেন ও মাঙ্কিপক্স সংক্রামক রোগ ও এটি পশুবাহিত রোগ ও এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রামিত হতে পারে। তবে আশার কথা, এই রোগে সংক্রমিত রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে, তাই এই রোগ খুব বেশি ভয়ঙ্কর নয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মাঙ্কিপক্স