নগদ টাকার অভাব : কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন কী করবে?

যুগান্তর ড. আর এম দেবনাথ প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৯

হাজার হাজার আমানতকারী বাইরে অপেক্ষমাণ। ভেতরে একটি ঘরে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থী মাত্র একজন, প্রশ্নও মাত্র একটি। উত্তর কী হবে? কী সে প্রশ্ন এবং কে সেই পরীক্ষার্থী? বলাই বাহুল্য, এ মুহূর্তে পরীক্ষার্থী স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, যিনি একজন পণ্ডিত অর্থনীতিবিদ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রিয় ব্যক্তি। যে প্রশ্নটি করা হয়েছে, তা করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। তিনি দুবার এফবিসিসিআইর সভাপতি ছিলেন। অনেক ধরনের ব্যবসা তার। তার অনেক বইও আছে। তার প্রশ্ন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি নগদ অর্থ সহায়তা না দেয়, তাহলে যেসব ব্যাংকে নগদ অর্থের অভাব রয়েছে, তারা কীভাবে চলবে? সেসব ব্যাংকের ব্যবসায়ী ও উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গ্রাহকদের কী হবে?...এ পরিস্থিতিতে হয় নগদ অর্থ দিতে হবে কিংবা তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে। নয়তো এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা সমস্যায় পড়বে। সংকটে পড়া বেশিরভাগ ব্যাংকই দেশের বড় ব্যাংক।’ কী নাম তার? তিনি আর কেউ নন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু। এক নামে সবাই তাকে চেনে। কেন তিনি এ প্রশ্ন তুলেছেন? গভর্নর কিছুদিন আগে বলেছেন, টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আর সহায়তা দেওয়া হবে না। এর সোজা অর্থ-নিজের সমস্যা নিজেকেই সামলাতে হবে। এর আরও অর্থ-লাভ-লোকসান ব্যবসায়ীর, ব্যবসা তার। সেখানে সরকারের কিছু করার নেই।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসব কথা হচ্ছে কিছুসংখ্যক ব্যাংকের দুর্দশা দেখে। দেশের কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ী সব টাকা তুলে নিয়েছেন। তিনি পলাতক। ওইসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রদবদল এনেছে। নতুন বোর্ড হয়েছে, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োজিত হয়েছেন। এসব ব্যাংকে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি চলছে। রীতিমতো চর দখলের মতো। বঞ্চিত কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেছেন। এদিকে ব্যাংকে ব্যাংকে তারল্য সংকট। মানে টাকার অভাব। আমানতের প্রবৃদ্ধি ঘটছে না। ওইসব ব্যাংকে আগে ভালো ‘রেমিট্যান্স’ আসত, যা এখন কমে গেছে। ফলে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না তারা। তাদের ‘পে-অর্ডার’, ‘চেক অনার’ হচ্ছে না। গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। এদিকে ব্যাংকে ব্যাংকে চলছে নগদ অর্থের টানাটানি। ‘কল মানি মার্কেটে’ টাকার অভাব। অথচ দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য মানুষের টাকা দরকার। ব্যবসায়ীদের টাকা দরকার। কিন্তু টাকা তোলার ওপর নিষাধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দুই লাখ, তিন লাখ, পাঁচ লাখ পর্যন্ত তোলা যাবে (০৪.০৯.২৪) বলে জানানো হচ্ছে। জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে ব্যাংক সম্পর্কে। ব্যাংকে ব্যাংকে লুটপাটের খবর বের হচ্ছে অনেকদিন যাবৎ। তারপরও ব্যাংক চলছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কে বা কারা এসব করছে, তা অবিলম্বে তলিয়ে দেখা দরকার। হাজার টাকার নোট বাতিল করা হবে বলে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল। আরও নোট বাতিল/বদল হবে বলে নানা খবর চারদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে। এ সবই অশুভ সংবাদ। এদিকে কোনো একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান একটি খবরের কাগজকে বলেছেন, ব্যাংকে লুটপাট হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দিয়েছে। পর্ষদ পুনর্গঠন করায় লুটপাট এখন বন্ধ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। টাকার সংকটে অনেক শাখা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সম্পর্কে নানা খবর চাউর হচ্ছে। ছোট, মাঝারি গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের দুঃখ-কষ্টের কথা এসবে তুলে ধরা হচ্ছে। চেক অনার হয় না, পে-অর্ডার অনার হয় না, এলসি করা যাচ্ছে না। অথচ নগদ টাকাও নেই। বেচাকেনা স্থবির। এমনকি অনেক ছোট-মাঝারি প্রতিষ্ঠান মাসের প্রথমে কর্মীদের বেতন-ভাতাও দিতে পারছে না।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও