শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করতে বিলম্ব কেন

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৬

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে চলমান সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে চার দফা জরুরি দাবি পেশ করেছেন। আমরা মনে করি, তঁাদের এ দাবিনামায় দেশবাসীর মনের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।


শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবির মধ্যে আছে ইন্টারনেট সচল করা ও কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরিয়ে নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সমন্বয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর আগে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যে দাবি ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে ৯৫ শতাংশ মেধা ও ৫ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ। আদালত ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং সেই অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।


আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, আদালতের রায়ের আগে তিন মন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে দাবিনামা নিয়েছিলেন। কিন্তু রায়ের পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার প্রয়োজনই বোধ করলেন না। গত রোববার শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিদাওয়া মানার বিষয়ে সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সরকারের তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা আট দফা দাবি জানিয়েছিলেন।


শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বৈরী দৃষ্টিতে না দেখলে এত প্রাণহানি, এত ধ্বংসযজ্ঞ এড়ানো যেত। সরকারের উচিত অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি পেশ করেছেন, তা পূরণ করা কঠিন নয়। ইতিমধ্যে সরকার কারফিউ শিথিল করেছে, সীমিত পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাও চালু হয়েছে। শিল্পকারখানাও খুলে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার উদ্যোগ বা তারিখ ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা দেখি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও