১৫৪ শিক্ষকের সনদ জাল ধরা পড়ল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সবদালডাঙ্গা উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মির্জা শিউলি বেগম। এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন তিনি। অথচ শিক্ষক হওয়ার জন্য শিউলি বেগম যে ‘শিক্ষক নিবন্ধন’ সনদ জমা দিয়েছেন, সেটিই ভুয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ায় এখন তাঁকে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে।
মির্জা শিউলি বেগমের মতো মোট ১৫৪ জন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে ডিআইএর তদন্তে। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকার বেশি অর্থ ফেরত নেওয়া এবং তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এমপিওভুক্ত হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা বাবদ এই অর্থ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ডিআইএর তদন্তের কালপর্ব ছিল ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত বছরের ১৮ মে ডিআইএর তদন্তে (তদন্তের কালপর্ব ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত) বের হওয়া জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত, অর্থ ফেরত নেওয়া এবং ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ডিআইএ ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের ২৫ মে পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৫৬ জন জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত করেছিল। পরে এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- জাল সনদ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক