মাংস বেচে কেউ কিনবেন চাল-ডাল, কেউ দেবেন ঘরভাড়া
মোহাম্মদ ইউনূস পেশায় রিকশাচালক। থাকেন চট্টগ্রাম নগরের শেরশাহ এলাকায়। আজ সোমবার সকালে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। নানা জায়গায় ঘুরে ৮-৯ কেজি মাংস সংগ্রহ করতে পেরেছেন। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য রেখেছেন তিন কেজির মতো। বাকি মাংস বিক্রি করতে এসেছেন সড়কে।
নগরের ২ নম্বর গেট এলাকায় যখন ইউনূসের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন শত শত মানুষের ভিড় ওই জায়গায়। কেউ কোরবানির মাংস বিক্রেতা, কেউ ক্রেতা। তবে দুই পক্ষের মিল একটাই—তাঁদের কেউই পশু কোরবানি দিতে পারেননি। সবাই প্রায় নিম্নবিত্ত। এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল ইউনূসের সঙ্গে। তিনি জানালেন, পশু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই মাংস তিনি জোগাড় করেছেন। সেখান থেকে কিছুটা বাসার জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করে চাল, ডালসহ বাজারসদাই করবেন।
ইউনূস বলেন, তাঁর বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায়। বেশ কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরের থাকছেন। রিকশা চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। তাঁর একমাত্র সন্তানের বয়স সাত বছর। এবার ঈদের পরপরই তাঁরা শহর ছেড়ে বাড়ি চলে যাবেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, শহরে অনেক খরচ। সংসার চালানো কঠিন। ঘরভাড়া বাবদ দিতে হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মাংস বিক্রি
- কোরবানির মাংস