পুতিন কি সত্যিই ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি করবেন?

প্রথম আলো স্টিফেন ব্রায়েন প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪, ১২:১৪

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ব্যর্থ ইস্তাম্বুল চুক্তি এবং ইউক্রেনে ভূখণ্ডের যে পরিবর্তন, তার ওপর ভিত্তি করে ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ইস্তাম্বুল চুক্তির ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই মৃত্যু ঘটে। সেই চুক্তির কি পুনর্জন্ম হবে? মৃত সেই চুক্তির ওপর ভিত্তি করে পুতিন কি সত্যিই ইউক্রেনের সঙ্গে একটি মীমাংসায় পৌঁছতে আগ্রহী?


আমরা কিন্তু এখন সেই ইস্তাম্বুল চুক্তির চেয়েও বড় চুক্তির কথা জানি। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে রুশ বাহিনী যখন বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল এবং কিয়েভের চারপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল, সে সময় দুই পক্ষে একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছিল।  


দুই পক্ষই তখন চুক্তিটা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। চূড়ান্ত চুক্তির জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে মুখোমুখি সমঝোতার দরকার ছিল এবং বেলারুশ ও ইস্তাম্বুল আলোচনায় ভূখণ্ড নিয়ে যে বিষয়গুলো অমীমাংসিত ছিল, সেগুলোর সমাধান করা দরকার ছিল। যাহোক, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য চুক্তিটির বিরোধিতা করলে ইউক্রেন চুক্তি করা থেকে পিছিয়ে এসেছিল।


ইস্তাম্বুল চুক্তির মূল বিষয় ছিল ন্যাটোর মুক্ত একটা নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে ইউক্রেন। ইউক্রেনকে নিরপেক্ষকরণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউক্রেনকে রাশিয়া, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য রাষ্ট্র এবং ইসরায়েল, তুরস্ক, পোল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি ও কানাডা মিলে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করবে।


এই চুক্তির খসড়া নিয়ে যতটুকু জানা যায়, নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বিধিটা ন্যাটো চুক্তির বিধি-৫–এর চেয়েও সুনির্দিষ্ট ছিল। নিরাপত্তার গ্যারান্টার প্রতিটি দেশ অন্য দেশের সহযোগিতা ছাড়াই নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে স্বাধীনভাবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দিতে পারবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী হতে হবে আরও ছোট আকারের, অস্ত্রশস্ত্র থাকবে আরও কম এবং দূরপাল্লার কোনো অস্ত্র থাকবে না।


দুই পক্ষের ভূখণ্ড নিয়ে সবচেয়ে সংবেদনশীল ইস্যুটি হচ্ছে ক্রিমিয়া। চুক্তির খসড়ায় বলা হয়েছিল, ১০ থেকে ১৫ বছর পর দুই পক্ষ ক্রিমিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফয়সালা করবে। ক্রিমিয়া কি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, নাকি ইউক্রেনে যাবে সেই সিদ্ধান্ত তাদের নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গক্রমে এই চুক্তির সারমর্ম হলো, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও দেশটি থেকে ন্যাটোকে সরানোর বিনিময়ে পুতিন ক্রিমিয়ার ওপর একধরনের বাজি ধরতে রাজি হতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও