কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভারতে মুসলমানরা এবার কাকে ভোট দেবেন

প্রথম আলো ভারত আলতাফ পারভেজ প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০০

বাংলাদেশে যখন ঈদ ও নতুন বছরের ছুটি শেষে সবাই কাজে ফিরতে শুরু করবে, তখন ভারতে জাতীয় ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি। এর মধ্যে জনসংখ্যার হিসাব অনুযায়ী মুসলমান ভোটার প্রায় ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৪ কোটি ভোট আছে মুসলমানদের। প্রশ্ন হলো, এই ভোট কোন দল পাবে? কারা মুসলমানদের পছন্দে আছে? মুসলমানরা কি প্রত্যাশিত মাত্রায় প্রতিনিধি বাছাই করতে পারছেন?


ভোট আছে আসন নেই


ভারতীয় লোকসভায় আসনসংখ্যা ৫৪৫ হলেও ভোট হয় ৫৪৩টি আসনে। জনসংখ্যার হিস্যা অনুযায়ী লোকসভায় মুসলমান সদস্য থাকার কথা ৭৫ থেকে ৭৬ জন। কিন্তু গত নির্বাচনে লোকসভায় মুসলমান সদস্য ছিলেন মাত্র ২৭ জন। আগের নির্বাচনে ছিলেন ২৩ জন।


লোকসভায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে মুসলমানদের দুর্বল অবস্থার পেছনে তিন ধরনের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রথমত, প্রধান প্রধান দল হিন্দু ভোট হারানোর ভয়ে মুসলমানদের প্রার্থী করতে চাইছে না। দ্বিতীয়ত, অনেক জায়গাতেই নির্বাচন–পরবর্তী মারধরের ভয়ে মুসলমানরা এলাকার শক্তিশালী অমুসলিম প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। তৃতীয়ত, অপেক্ষাকৃত সংখ্যালঘুবান্ধব মনে করে মুসলমানরা কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূলের মতো দলকে ভোট দিতে গিয়ে সেই ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এ রকম ভাগাভাগির কারণে সংখ্যালঘুরা তাঁদের ধর্মের কাউকেই জিতিয়ে আনতে পারছেন না।


এ অবস্থার সবচেয়ে করুণ দৃশ্য দেখা যায় উত্তর প্রদেশে। লোকসভায় এই প্রদেশের প্রতিনিধি সবচেয়ে বেশি, ৮০ জন। প্রায় চার কোটি মুসলমানের বাস এখানে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে একজন মুসলমানকেও প্রার্থী করেনি। ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণে তারা এত আস্থাশীল ছিল, মুসলমানদের প্রার্থী না করার বিষয় নির্বাচনী প্রচারে তাদের তরফ থেকে একটা বলার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।


এ রকম প্রবণতা ভারতজুড়েই বাড়ছে। যেমন রাজস্থানে মুসলমান ভোটার প্রায় ১০ শতাংশ। এখানকার কিছু আসনে বেশ বড় অঙ্কে মুসলমান ভোট আছে। কিন্তু বিজেপি তো নয়ই, কংগ্রেসও এবার এখানে কোনো মুসলমানকে প্রার্থী করেনি। দুই দলই ২৫টি আসন সংখ্যাগুরুদের দিয়ে পূরণ করেছে। বিজেপি রাজস্থানে কখনোই কোনো মুসলমানকে প্রার্থী করেনি। কংগ্রেস অতীতে সেটা করলেও এখন সেই নীতি থেকে সরেছে।


ভারতীয় ক্রিকেটার আজাহারউদ্দিন ২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে রাজস্থান থেকে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে তেলেঙ্গনা থেকে বিধানসভা ভোটে অংশ নিয়েও তিনি হেরে যান। ক্রিকেটের তিনটি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিলেও ভোটের মাঠে তিনি আর এখন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন না। ভারতে অমুসলিমদের ভোট মুসলমান প্রার্থীদের দিকে নেওয়া প্রায় সব দলের জন্য বেশ দুরূহ এখন। সমাজজীবনে হিন্দুত্ববাদী মনস্তত্ত্বের প্রভাব এ অবস্থা তৈরি করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও