কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনের পরব ও ভাষা-সন্ত্রাস

যুগান্তর পবিত্র সরকার প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৭

ভারতে লোকসভার একটি নির্বাচন আসছে, যার একটি রঙ্গভূমি হলো পশ্চিমবঙ্গ। অন্য প্রদেশগুলোর খবর রাখি না, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নানা পক্ষের ব্যক্তি ও দলের মধ্যে কথার যুদ্ধ এরই মধ্যে বেশ জমে উঠেছে, প্রবল গরমেও তাতে বিশ্রাম নেই। বিশ্রাম থাকবেই বা কেন; যে মহারণ আসছে, তাতে জয়-পরাজয় অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে প্রার্থীর বচনপটুতার ওপর নির্ভর করে। পার্লামেন্টে গিয়ে তিনি পাঁচ বছর মুখ না খুলুন, নির্বাচনের ময়দানে তাকে প্রচুর কথা বলতেই হবে। তার মধ্যে প্রতিপক্ষকে গালাগাল একটা অনিবার্য উপাদান।


Verbal violence বা ভাষা-সন্ত্রাস (বা ভাষা-হিংস্রতা) একটা গুরুগম্ভীর পরিভাষা, এ কথাটার সোজা মানে হলো গালাগাল। ভাষা দিয়ে আমরা বহু কাজ করি, যেমন প্রেম নিবেদন, শিশুকে আদর, সন্তানদের শাসন, দোকানে-বাজারে দরাদরি, মাঠে নিজের দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহদান, থিয়েটারে দুর্বল অভিনয়কে ‘আওয়াজ’ দেওয়া ইত্যাদি। গালাগাল সেইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা ভালো না মন্দ, সে বিচারে আসার আগে বলা ভালো-যেটা সবার জানা কথা-যে আমরা সাধারণ মানুষ একা বা দলে পড়ে সবাই কখনো না কখনো গালাগাল দিই। বিনিময়ে গালাগাল খাইও বটে। পৃথিবীর সব ভাষার মানুষ। এবং বেশির ভাগ ভাষা কাজের মতোই গালাগাল দ্বিপাক্ষিক। অর্থাৎ একপক্ষ গালাগাল দেয় অন্য এক পক্ষকে। এমন সম্ভাবনা প্রায়ই থেকে যায় যে, যে পক্ষ সে গালাগাল ফিরিয়ে দেবে।


অবশ্যই গালাগালের ক্ষেত্রেও, সংঘটিত অপরাধের মতোই, একটা সালিশি বা arbitration-এর সুযোগও থাকে। যেমন স্কুলে একটি ছেলেকে কেউ গালাগাল দিল, সে স্যার বা ম্যাডামের কাছে গিয়ে নালিশ করল, স্যার/ম্যাডাম গালাগালের গুরুত্ব বুঝে অপরাধীকে শাস্তি দিলেন বা বললেন, ‘খবরদার, আর যেন এই নালিশ না শুনি!’ সামাজিক প্রকাশ্য গালাগালেও সালিশি হতেই পারে, সেটা আমরা পরে-নির্বাচনিক গালাগালের বিচার উপলক্ষ্যে খানিকটা বিস্তারিতভাবেই বুঝে নেব। এ লাইনটা লিখতে গিয়েই চোখে পড়ল যে ‘নির্বাচন’ কথাটার মধ্যে লুকিয়ে আছে ‘বাচন’ কথাটা। যার উৎপত্তি ‘বাক্’ থেকে, আর গালাগাল হলো বাক্ বা বাচনেরই এক অঙ্গ। জানি না, বাগ্দেবী সরস্বতী গালাগালেরও দেবী কি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও