কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিক্ষার্থীর ভোগান্তি, শিক্ষকের দায়

প্রথম আলো আসিফ নজরুল প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৪

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী। বেঁচে থাকলে একদিন আইনজীবী বা বিচারক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হতো। পিতৃহীন সংসারের হাল ধরত সে, নিজের ছোট ভাইটাকে দেখে রাখত। তার আত্মহত্যার খবর জেনে অন্য অনেকের মতো আমি মর্মাহত হয়েছি। তার মায়ের আহাজারি শুনে এই বেদনা আরও বেশি অনুভব করেছি।


অবন্তিকার এই মৃত্যু আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রশাসন, ছাত্র ও শিক্ষকরাজনীতি, সমাজের মানসিকতা প্রসঙ্গে বহু ন্যায্য প্রশ্নের পুনরুত্থান ঘটিয়েছে। আমি সেসব নিয়ে নিজের উপলব্ধির কথা বলব। কিন্তু তার আগে বলে রাখি, অবন্তিকার আত্মহনন যত বেদনাদায়কই হোক, এটি সমর্থনীয় নয়। কোনো কারণেই একজন শিক্ষার্থীর আত্মহননের দিকে যাওয়া উচিত নয়।


এ কথা জোর দিয়ে বলছি; কারণ, আমিও নানা বঞ্চনা, নির্যাতন ও লাঞ্ছনার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এর কিছু বর্ণনা আমার পিএইচডির গল্প বইয়ে দিয়েছি, কিছু কথা নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে আমার রূপান্তর ঘটে, তখন আবার প্রতিবাদী হয়ে ওঠার কারণে কিছু শিক্ষকের রোষানলে পড়তে হয়েছিল।


কিন্তু আমি আত্মহত্যার কথা ভুলেও ভাবিনি তখন। আমাদের তরুণকালে এমন ঘটনা আদৌ ঘটত বলেও মনে পড়ে না। আমি জানি, এখনকার সময়ে যারা আত্মহত্যা করে বা করার কথা ভাবে, তাদের জীবনে হয়তো আরও গুরুতর ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরও কোনো অবস্থায় আত্মহত্যা করা যাবে না।


আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন কোনো ১০০ মিটার দৌড় নয়, জীবন বরং ম্যারাথনের মতো। স্বল্প সময়ে বহু বঞ্চনার জীবন পরে আনন্দ আর সাফল্যে ভরে উঠতে পারে। আত্মহত্যা শুধু নিজের সম্ভাবনাময় জীবন নয়, নিজের মা–বাবা ও পরিবারের স্বাভাবিক জীবনের মৃত্যু ঘটায়। আমরা অবন্তিকার মায়ের আহাজারি দেখেছি, মনে হয় না মায়ের এমন প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবলে অবন্তিকা আত্মহত্যা করতে পারত।


আত্মহত্যা না করে বরং আরও প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ভালো ও পরোপকারী কিছু শিক্ষক থাকেন, তাঁদের সাহায্য নিতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে আরও শক্তভাবে গড়ার চেষ্টা করতে হবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রী যৌন হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিল, সে অবিচল থেকে আজ একজন বিচারক হিসেবে সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে এ জন্য দায়ী ছিল, তাকে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছিল। সব সময় এটা হবে, তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু অবন্তিকাই যদি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করত, তার সুযোগ হতো আইনজীবী হয়ে তাকে হয়রানি করা মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার বা এ ধরনের ভিকটিমদের পক্ষে কোনো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার।


আমরা যারা ধর্মবিশ্বাসী মানুষ, আমাদের এটাও মনে রাখা উচিত, পৃথিবীর সব ধর্মে আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে দেখা হয়। যাঁরা ধর্মের কথা ভাবেন না, তাঁদের মনে রাখা উচিত, এটি সামাজিক নৈতিকতায়ও অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য (এ জন্য এর চেষ্টা করা আইনশাস্ত্রেও শাস্তিযোগ্য) কিছু।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও