বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বৈশ্বিক আত্মজৈবনিক সাহিত্য

ঢাকা পোষ্ট কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিছক আত্মজৈবনিক রচনা নয়, গত শতাব্দীর তিন দশকের বহুমাত্রিক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অনন্য দলিল। ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষের, বিশেষ করে বাংলার, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে বলা যায় পূর্ববাংলা বা বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ইতিহাসের অসংখ্য অনালোচিত উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই রচনায়।


বইটির হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি একরকম প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর প্রায় ২৯ বছর পরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঠিক পরপর। বইয়ের প্রথম প্যারাতেই প্রাককথনে কীভাবে পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় তা জানানো হয়েছে—


‘শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণ প্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে।’


গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীপারের একজন অতি সাধারণ পরিবার থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যেই দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠার বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে সুলিখিত ভাষায় এবং যুগপৎ ছিল তার বিনয় বোধ। ছিল না কোনো রাজনৈতিক আত্মঅহমিকা। অনেকটা নিষ্কপটভাবে বর্ণনা করে গিয়েছেন সবকিছু। বইটিতে এমন অনেক বিষয় ছিল যা সাধারণত আত্মজীবনীকাররা এড়িয়ে যান; কিন্তু এখানে কিছুই বাদ পড়েনি। বইটি পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হয় বিশ্বসাহিত্যের কোনো আত্মজৈবনিক উপন্যাস পড়ছি।


বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বন্ধুবান্ধবরাই বিভিন্ন সময়ে তাকে তার রাজনৈতিক জীবনের কাহিনিগুলো লিখে রাখতে উৎসাহ এবং প্রেরণা দেন। এই প্রেরণা থেকেই তিনি যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দি ছিলেন তখন ১৯৬৭ সাল থেকেই আত্মজীবনীটি লেখা শুরু করেন।


এভাবেই জন্ম নেয় অসমাপ্ত আত্মজীবনী। পদ্মা, মধুমতি, আড়িয়ালখাঁ, কুমার তীরের এক সাধারণ পরিবারে, সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার প্রেরণাদীপ্ত গল্প; একজন জাতিরাষ্ট্রের স্রষ্টা হয়ে ওঠার গল্প, একজন রাষ্ট্রনায়কের গল্প।


আমরা সবাই জানি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হলেন শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী। কিন্তু প্রথম জীবনে তাকে প্রভাবিত করে ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র দাস এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। এই সংযোগ হয় ১৯৩৬ সালে মাদারীপুর থাকা অবস্থায়। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ১৯৩৬ সালে মাদারীপুর মহকুমায় সেরেস্তাদার হয়ে বদলি হয়ে আসেন (পৃষ্ঠা-৮)। বঙ্গবন্ধু তার পিতার সাথে মাদারীপুর চলে আসেন এবং মাদারীপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তখন মাদারীপুর ছিল বিপ্লবী, অনুশীলন সমিতিদের ঘাঁটি। তাই এখানে এসেই তার মধ্যে বিপ্লবের মণিকাঞ্চন সংযোগটি ঘটে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও