গৃহকর্মী: শ্রমিকের মর্যাদা নেই, সরকারের দায়িত্ব শুধু কিতাবে
সংখ্যার দিক দিয়ে গৃহশ্রমিকরা পোশাক শ্রমিকদের চেয়ে কম কি না, সে নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তবে আইনি সুরক্ষা আর অধিকারের প্রশ্নে এই বিপুল জনগোষ্ঠী যে তলানিতে, সে বিষয়ে নেই সন্দেহ।
বিপুল এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ৯ বছর আগে একটি নীতিমালা করা হলেও আইন করার উদ্যোগ নেই। আবার নীতিমালায় যা যা করার কথা বলা আছে, তার কিছুই করেনি সরকার।
নিয়োগ, কর্মঘণ্টা, ছুটির বিষয়ে যা যা বলা আছে, তার কোনো কিছুর বাস্তবায়ন নেই। সরকারের যে মনিটরিং সেল, হেল্প লাইন, নীতিমালার প্রচারের কথা বলা আছে, করা হয়নি তার কিছুই।
যাদের জন্য এই নীতিমালা, তারাও জানে না তাদের কী কী অধিকার আছে, যারা গৃহ শ্রমিকদের নিয়োগ দেবেন, জানেন না তারাও।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল আলাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০২৩ শ্রম আইন সংশোধন করা হয়। কিন্তু গৃহশ্রমিকদের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের যেহেতু শ্রমিকের মর্যাদা নেই, তাই এমন কোনো সুবিধাই তারা পাচ্ছেন না। নীতিমালা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নয়, দরকার আইন।”
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বা বিলসের উপপরিচালক ইউসুফ আল মামুন বলেন, “দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী পরিশ্রম করলেও শ্রমিক হিসেবেই গণ্য হচ্ছেন না। ফলে তাদের বেতন ও অধিকার রক্ষায়ও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।”
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. তরিকুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, " আমি দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র এক মাস আগে। তাই নীতিমালাটি নিয়ে বেশি কিছু জানি না।”