‘গাড়িটা নৌকার মতো ভাসতেছিল, ড্রাইভাররে বললাম দরজার লক খুলে দিতে’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩০

ঘরে রাখা সাতটি লাশ ঘিরে আহাজারি করছেন স্বজনেরা। তবে বিছানায় শুয়ে থাকা বৃদ্ধ আবদুর রহিমের কোনো সাড়াশব্দ নেই। কেবল চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল পানি। স্ত্রী, শাশুড়ি, তিন নাতনি ও দুই পুত্রবধূকে হারিয়ে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।


আজ বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাসারি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এর আগে ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব জগদীশপুর এলাকায় একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস খালে পড়ে আবদুর রহিমের পরিবারের সাত সদস্য নিহত হন। রহিমের ওমানপ্রবাসী ছেলে আবদুল বাহারকে নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা।


নিহত ব্যক্তিরা হলেন—আবদুর রহিমের শাশুড়ি ফয়জুন নেসা (৮০), স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৫৫), পুত্রবধূ কবিতা বেগম (৩০) ও লাবনী বেগম (৩০) এবং নাতনি রেশমি আক্তার (১০), মীম আক্তার (২) ও লামিয়া আক্তার (৯)।


চৌপল্লী এলাকার কাসারি বাড়িতে পাশাপাশি সাতটি ঘর। একপাশে চৌচালা একটি টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস আবদুর রহিমের। সরেজমিনে বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সাত সদস্য নিহতের খবর পেয়ে ঘরটিতে কয়েক শ মানুষ ভিড় করেছেন। উঠানেও মানুষের জটলা। ঘরে লাশগুলো ঘিরে বেশ কিছু নারী-পুরুষ আহাজারি করছেন। বিছানায় শুয়ে থাকা আবদুর রহিমকে অনেকেই সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো জবাব নেই তাঁর। একপর্যায়ে বিছানা থেকে কোলে করে তাঁকে উঠানে নিয়ে এসে চেয়ারে বসিয়ে দেন কয়েকজন স্বজন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও