জাতীয় পার্টির চিড় যখন ফাটলে পরিণত

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৮

আবারও ভাঙতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি? গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ভরাডুবিকে কেন্দ্র করে জাপার মধ্যে চরম অস্থিরতা চলছে। সে অস্থিরতা কমানোর ‘দাওয়াই’ হিসেবে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের যেভাবে একের পর এক কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য পর্যায়ের নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে চলেছেন এবং বহিষ্কৃত নেতারা গিয়ে রওশন শিবিরে ভিড়ছেন, তাতে এটা স্পষ্ট– দলটির আরেক দফা ভাঙন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 


জাপায় অস্থিরতা অবশ্য শুরু হয়েছিল ৭ জানুয়ারির আগেই, যখন রওশনপন্থিদের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়; এমনকি রওশনপুত্র সাদ এরশাদের পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত রংপুর-৩ আসনটিও পাননি। সেখানে জি এম কাদের নিজে প্রার্থী হন। এ পরিপ্রেক্ষিতে রওশনপন্থিরা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশন নিজে দেখা করে জাপাকে কোনো আসন না ছাড়ার অনুরোধ করেন। 


জি এম কাদেরের জন্য এ পরিস্থিতি হয়তো শাপেবর হতো, যদি তিনি ও তাঁর সহযোগীরা সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের মতো করে নির্বাচনটি করতেন। যে যাই বলুক, তাঁর পক্ষে কথিত ‘তৃণমূলের’ কথা শুনে নির্বাচন বর্জন সম্ভবপর ছিল না। কারণ তেমন পরিস্থিতিতে হয়তো তাঁকে আরও বাজে পরিণতি ভোগ করতে হতো। নিজেদের শক্তিতে নির্বাচন করলে তারা আসন হয়তো বর্তমানের চেয়ে কম পেতেন, তবে দলটির অন্যরকম একটা ভাবমূর্তি তৈরি হতো। কিন্তু সেটা না করে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা বরং অনেকটা ২০১৪ সালের মতো প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হতে সরকারি দলের সঙ্গে দেনদরবারে লিপ্ত হন। এর ফলস্বরূপ সরকারি দলের কাছ থেকে ২৬টি আসনে ছাড় পেলেও জাপা জিতে আসে মাত্র ১১টিতে। 


একসময় বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনসহ দেশের আরও কয়েক অঞ্চলে প্রভাবধারী দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলটির জন্য নিঃসন্দেহে এ ফল চরম হতাশাজনক। তবে দলটির দুই প্রধান নেতা বড় লজ্জায় পড়ে যান, যখন দলেরই ভেতর থেকে অভিযোগ ওঠে– জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিব সরকারের কাছ থেকে শুধু ‘বিপুল’ অঙ্কের নির্বাচনী খরচই নেননি; অন্য প্রার্থীদের না দিয়ে তা আত্মসাৎও করেছেন।


স্বাভাবিকভাবেই এ পরিস্থিতি রওশনপন্থিদের চাঙ্গা করে তোলে। গত ২৮ জানুয়ারি নিজেকে জাপা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জি এম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে ‌‘অব্যাহতি’ দেন রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে তিনি ৯ মার্চ দলের নতুন সম্মেলন অনুষ্ঠানেরও ঘোষণা দেন। 


রওশনের এ ঘোষণাও সম্ভবত হালে পানি পেত না, যদি একটা সমন্বয়বাদী মানসিকতা নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান ওই অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করতেন। কিন্তু সে পথে না হেঁটে তিনি ১৪ জানুয়ারি নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দায়ী করে বক্তব্যদানকারীদের বহিষ্কার করতে থাকেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও