কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বইমেলায় যেতে ইচ্ছে করছে না

মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত এই বইমেলা লেখক, প্রকাশক ও পাঠকের মিলনমেলায় রূপ নেয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শোকাবহ স্মৃতি স্মরণে এই মেলার প্রচলন শুরু হলেও এখন তা এক ‘উৎসবে’ রূপ নিয়েছে।

প্রকাশকেরা এই মেলা সামনে রেখে বই প্রকাশ করেন, লেখকেরাও বছর ধরে প্রস্তুতি নেন মেলায় নতুন বই বাজারে আনার। প্রতিবছর তিন-চার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয় এই মেলা উপলক্ষে। এই এক মাসে যত বই প্রকাশিত হয়, সারা বছর এর এক-দশমাংশ হয় কি না, সন্দেহ। তবে সেই সব বইয়ের কত শতাংশ মানসম্পন্ন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন লেখকের আবির্ভাব হয় এই মেলা মৌসুমে। তবে নতুন কয়েক শ লেখকের আগমন হলেও অধিকাংশই একটি বা দুটি বই প্রকাশের পর কালের অতলগহ্বরে হারিয়ে যান।

শোনা যায়, ‘নাম কেনা’র জন্য অনেকে বই লিখে প্রকাশকদের টাকা দিয়ে তা প্রকাশ করে থাকেন। একশ্রেণির প্রকাশকও লোকসানের ঝুঁকি না থাকায় সাগ্রহে সেসব বই প্রকাশ করে থাকেন। আর কথিত লেখক টাকার বিপরীতে প্রকাশকপ্রদত্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ বই নিয়ে বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করে ‘লেখক’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। অনেকে এই প্রবণতাকে সাহিত্য ও প্রকাশনা জগতে অবক্ষয়ের ধারা বলে অভিহিত করে থাকেন। সমাজের সর্বত্র যখন অবক্ষয়ের রাজত্ব, তখন সাহিত্য ও প্রকাশনা জগৎ এর বাইরে থাকবে কেন?

আমরা চলতি ভাষায় যাকে ‘একুশে বইমেলা’ বলি, তার দাপ্তরিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। স্বাধীনতার পরপরই এই মেলার প্রচলন শুরু। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত জালাল ফিরোজের ‘অমর একুশে বইমেলার ইতিহাস’ গবেষণাগ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘১৯৭২ সাল থেকে বাংলা একাডেমি তার নিজস্ব প্রকাশনা একুশ উপলক্ষে হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল।

১৯৭৪ সালে একুশ উপলক্ষে একাডেমিতে জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে একাডেমির বই প্রদর্শিত হয়। ১৯৭৫ সালে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে একাডেমির গেটের কাছে খোলা আকাশের নিচে একুশ উপলক্ষে মুক্তধারা একাডেমির কাছে বই বিক্রির অনুমতি চায়।

একাডেমি অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে মুক্তধারা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, নওরোজ, চলন্তিকা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান অনুরূপভাবে বই বিক্রি করে এবং এ ব্যবস্থা অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবেই একাডেমির প্রকাশন মুদ্রণ বিক্রয় বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন