সরকারি চাকরিতে থাকলে ধর্ষণের অভিযোগ কেন ‘হালকা’ হয়ে যায়

প্রথম আলো গওহার নঈম ওয়ারা প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৭

ধর্ষণের অভিযোগে রেলকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা বা ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং শুরুর ঘোষণা এসেছে। গত ১৮ জানুয়ারি রেলওয়ে বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) তাসরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিতও করেছেন। এর আগে অবশ্য লালমনিরহাট রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। বাদী ছিলেন রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন। (সূত্র: আজকের পত্রিকা, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪)


আগের ঘটনা


১৬ জানুয়ারি ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হন আক্কাছ গাজী (৩২)। তিনি বরিশাল সদরের পাতাং এলাকার বাসিন্দা। লালমনিরহাট রেলওয়ের সেলুন বেয়ারা ভারপ্রাপ্ত অ্যাটেনডেন্ট ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে কাজ করতেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আক্কাছ গাজী ঘটনার দায় স্বীকার করেন।


ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। মা-বাবার সঙ্গে সে গাজীপুরের জয়দেবপুরে থাকত। সেদিন তাঁর জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত সে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে। এরপর সে ধর্ষণের শিকার হয়। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ আদালতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেয়।


প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বাবা মেয়েকে নিয়ে এখন আর গ্রামের বাড়িতে যাবেন না। শারীরিক ধকলের পর অবুঝ মেয়েটি কারও কটু কথা সহ্য করতে পারবে না। তার চেয়ে গাজীপুরে যেখানে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন, সেখানে চলে যাবেন। এখানে তাঁদের তেমন করে কেউ চেনে না। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না।


মেয়েটির বাবা গাজীপুরে শ্রমিকের কাজ করেন। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুরে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বিভিন্ন মেসে রান্নার কাজ করেন। বড় বোন একটি কারখানায় চাকরি করেন। নির্যাতনে শিকার মেয়েটি ঈশ্বরগঞ্জে গ্রামে থাকা তার ভাইদের (একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আরেকজন বাক্‌প্রতিবন্ধী) কাছে ফিরতে চেয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও