কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জৌলুস নাকি দিনের শেষে শান্তিতে ঘুম- কোনটা উত্তম?

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬

যখন নিজেদের ছোটবেলার কথা মনে করি, তখন এমন অনেক স্মৃতি এসে ভিড় করে, যা এখন আমার কাছেও বিস্ময়কর মনে হয়। জীবনের প্রতিটি ধাপে পা রেখে, একটু একটু করে আজকের যে অবস্থায় পৌঁছেছি, সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়। আমরা যারা খুব সাধারণভাবে বড় হয়েছি, তারাও কিন্তু আমাদের বর্তমানের সচ্ছল জীবনের সঙ্গে ফেলে আসা দিনের হিসাব মেলাতে পারি না। সেখানে আজকের সচ্ছল পরিবারের শিশুদের পক্ষে সেই জীবনযাপনের চেহারাটা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। অথচ বর্ণাঢ্যবিহীন সেইসব জীবনেও আনন্দময় শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য ছিল, ছিল সুখ ও ভালোবাসা।


আমাদের পরের প্রজন্মও জানে না তাদের বাবা-মায়েরা কিভাবে বড় হয়েছেন, কী খেয়েছেন, কী পরেছেন, কিভাবে উৎসব পালন করেছেন। এমনকি স্কুলের বইখাতা যোগাড় করতে কতটা হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের, পরিবারের ভাইবোনেরা কেমন করে বছরের পর বছর এ-ওর বই পাল্টে পাল্টে পড়েছেন, নতুন বই আর কেনা হয়ে ওঠেনি।


সত্তুর থেকে নব্বুই দশকের এই ছবিগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগান ও জীবন উপভোগের সামগ্রী কম থাকলেও আমাদের শৈশব-কৈশোর ছিল স্বাধীন, ঘটনাবহুল, আনন্দে পরিপূর্ণ ও জমজমাট। অপ্রাপ্তি ছিল তবে চাহিদাও খুব কম ছিল বলে, মনে একধরনের সুখানুভূতি ছিল। আজকালকার ছেলেমেয়েদের প্রাপ্তি বেশি হলেও, তাদের চাহিদার কাছে সেই পাওয়াটা কেমন যেন ম্যারম্যারে হয়ে যায়। সেইসময় আর এইসময়ের মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক এখানেই।


স্কুলজীবনে আমরা অনেকেই নিজেদের মাপ মতো জুতো পরতে পারিনি। আমার মা সবসময় বড় মাপের জুতো কিনে দিতেন, যেন আগামী এক বা দুই বছর আমাদের দুই ভাইবোনের জন্য কোনো নতুন জুতো কিনতে না হয়। ঈদের জুতো বা স্কুলের জুতো সবক্ষেত্রেই এই হিসাব প্রযোজ্য ছিল।


আমরা মৃদু প্রতিবাদ করলে বলা হতো এটা বাচ্চাদের বড় হওয়ার সময়, দু’দিনেই জুতো জামা সব ছোট হয়ে যায়, তাই বড় জুতো কিনে দেয়া হতো। অভিভাবকরা মনেকরতেন একটা জুতো শুধু একবছর পায়ে দিলেই কি পোষাবে? অন্তত বছর দুয়েক জুতোজোড়া পরা উচিৎ। আমরা পায়ে তুলা গুঁজে সেই জুতো পরে খুশি মনে স্কুলে যেতাম, ঈদও করতাম। ধরেই নিয়েছিলাম আমাদের কপালে সঠিক মাপের চাইতে বড় জুতো, ও বড় জামা লেখা আছে।


পোশাকের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই কথা প্রযোজ্য ছিল। সেসময় বাসায় মায়েরা নিজে হাতে জামা, সোয়েটার, চাদরসহ নানাকিছু সেলাই করতেন। খুব জরুরি কোনো কাজ ছাড়া দর্জির কাছে তেমন যাওয়াই হতো না। স্কুল ড্রেসও আম্মা সেলাই করতেন। পরার পর দেখতাম জামা মাপে বড়। ইচ্ছে করেই এমনভাবে জামাটি বানানো হতো, যাতে বহুদিন জামাটি পরতে পারি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও