রফতানি তথ্যে সাত মাসে সাত বিলিয়ন ডলারের ফারাক

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬

রফতানি পণ্যের চালান দেশ থেকে সমুদ্র, নৌ, আকাশ বা স্থলপথে বেরিয়ে যাওয়ার আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট নথির সঙ্গে তা যাচাই-বাছাই করে। নিয়ম অনুযায়ী বন্দরে পণ্যবাহী চালান পরিবহনের আগে কাস্টমস তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে রফতানির তথ্য প্রবেশ করানো হয়। এ পদ্ধতিতে এনবিআরের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা অ্যাসাইকুডায় স্থান পায় রফতানির শুল্কায়ন মূল্য বা অ্যাসেসড ভ্যালু। কাস্টমস কর্তৃক সর্বশেষ সাত মাসে মোট রফতানির অ্যাসেসড ভ্যালু ২৬ বিলিয়ন ডলার। আবার গত ৪ ফেব্রুয়ারি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যদিও ইপিবির দাবি, এনবিআর তথা কাস্টমসের তথ্যের ভিত্তিতেই তারা এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।


অ্যাসাইকুডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাত মাসে ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০৩ টন পণ্য রফতানি হয়েছে। এ পরিমাণ পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮২০ টাকা। ডলারপ্রতি ১১০ টাকা বিনিময় হার ধরে হিসাব করলে অর্থমূল্যে রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬০৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৭১ বা ২৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। 


দুই সংস্থার পরিসংখ্যানে ৭ বিলিয়ন ডলারের বৈসাদৃশ্যের কারণ নিয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বৈদেশিক বাণিজ্যের পর্যবেক্ষকরা। তারা বলছেন, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রফতানির তথ্য নিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তি কাম্য নয়। বিষয়টি এখন জাতীয় অর্থনীতির লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। পরিসংখ্যানের এ বড় ফারাক কোনোভাবেই কাম্য নয়। আবার উভয় তথ্যেরই উৎস এক দাবি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের গোটা বাণিজ্য পরিসংখ্যান নিয়েই বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও