বিরোধী দলে যেতে চাইছে না কেউই
টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নতুন এই সরকারের অংশ হতে চায় নির্বাচনে আসন জেতা সব দলই। এমনকি আওয়ামী লীগের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জেতা জাতীয় পার্টিও (জাপা) বিরোধী দল হওয়ার চেয়ে সরকারে থাকতেই বেশি আগ্রহী। এ জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর-কষাকষি করছে দলটি। গতকাল জাপার পক্ষ থেকে দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের এখনই শপথ না নেওয়ার যে তথ্য জানানো হয়, তা দর-কষাকষির অংশ ছিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত রোববার দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২, জাপা ১১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, জাসদ ১, কল্যাণ পার্টি ১ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হন। এর মধ্যে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি আসন জিতেছে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে। আর জাতীয় পার্টিও জিতেছে সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনে। তারপরও আওয়ামী লীগের পর সর্বোচ্চ আসন পাওয়া দল হিসেবে জাতীয় পার্টির বিরোধী দল হওয়ার কথা। কিন্তু দলটি শুধু বিরোধী দলে থাকতে চাইছে না এবার। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নতুন মন্ত্রিসভায় থাকার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করছেন।
বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় সেবার জাপা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারে যেমন ছিল, তেমনি সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায়ও ছিল। ওই নজির টেনে এবারও সরকারে স্থান পেতে চাইছে দলটি। জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের অংশ হতে চাইলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।