কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনোত্তর ভাবমূর্তি: সুবর্ণ সুযোগের দ্বারপ্রান্তে স্বদেশ

www.ajkerpatrika.com অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৭

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি কিসের ওপর নির্ভরশীল? এই প্রশ্ন এখন সময়োপযোগী। একসময় আমরা ভাবতাম টাকা-পয়সা বা অর্থবিত্ত থাকলেই ভাবমূর্তি বাড়ে। এটা মিথ্যা নয়। কিন্তু সর্বতোভাবে সত্যও নয়। টাকা-পয়সায় উপচেপড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ইমেজ আর ইউরোপের ধুঁকতে থাকা অনেক দেশের ইমেজ কি এক? আমরা এটা জানি, উত্তর কোরিয়া বা এমন দেশগুলোর ইমেজ কেমন?


এ দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে থাকলেও, দেশের বাইরে তাদের ইমেজ সাংঘাতিক সংকটপূর্ণ। বলতে গেলে, সামগ্রিকভাবে এদের ইমেজ ভয়ের। অর্থবিত্ত কোনো দেশকে সচ্ছল করলেও, এর সামগ্রিক অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে। সেই প্রমাণ আমরা দেখেছি।


আমার এ লেখাটি যখন প্রকাশিত হবে, তখন দেশে নতুন একটি সরকার গঠিত হবে। এটাই বাস্তব সত্য কথা। নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ও বিরোধিতা ডিঙিয়ে আওয়ামী লীগের সরকার তা করতে পেরেছে। শেখ হাসিনা যে অদম্য এবং গতিশীল নেতা, সেটাই প্রমাণিত হবে আরেকবার। সেদিক থেকে তাঁরা সফল। কিন্তু যে কথা বলছিলাম, আমরা কি সত্যি অর্থনৈতিকভাবে ভালো চলছি? দূরদেশ থেকে সেটা পরিষ্কার দেখা না গেলেও, তা বোঝা যায়।


অবকাঠামোর সাফল্য আর দ্রুত বদলে যাওয়া দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাখ্যায় কী বলছে আন্তর্জাতিক সংস্থা? বাংলাদেশের অর্থনীতির সামষ্টিক স্থিতিশীলতায় চাপ তৈরি হওয়ার ব্যাখ্যায় আইএমএফ বলছে, কোভিড-১৯-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা।


সেই সময়ে মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে দেশে দেশে অর্থনৈতিক নীতিতে সুদহার বাড়ানোর রেশ এসে পড়ে বাংলাদেশের ওপরও। আর স্বল্পমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা পড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে। এ কারণে প্রকৃত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে ছিল পিছিয়ে।


চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও তা সাড়ে ৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক আগেই থেমে যাবে বলে আইএমএফসহ অন্য উন্নয়ন সহযোগীরা পূর্বাভাস দিয়েছে। আইএমএফের সবশেষ রিভিউ মিশনের ডিসেম্বরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনীতি চাপে থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক নীতির দুর্বলতা। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে এবং নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো সময়োপযোগী ছিল না।


এসব সত্য মেনে নিয়েও বলতে হয়, তার পরও থমকে দাঁড়ায়নি দেশ; বরং সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধক মূলত দুর্নীতি। যে কথা শুরুতে বলেছিলাম, সেই ভাবমূর্তির প্রধান বাধাও এই দুর্নীতি। কিছুদিন পর পর ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে পাচারের খবরে ক্লান্ত সমগ্র সমাজ ও দেশবাসী। এই সেক্টরগুলোতে বিশেষভাবে নজর দিলে দেশের ভাবমূর্তির আরও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও