নতুন বছরে নতুন কী

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১১

আর মাত্র দুই দিন পর আমরা একটি নতুন বছরে পদার্পণ করব। ২০২৩ সালকে বিদায় দিয়ে স্বাগত জানাব ২০২৪ সালকে। পেছনে তাকিয়ে বলতে পারি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব-দোলাচল, বিভেদ-বিভ্রান্তি সত্ত্বেও আমরা সংকট মোকাবিলা করে সম্ভাবনার দিকেই এগিয়ে চলেছি। বিদায়ী বছরে করোনা মহামারি আমাদের সেভাবে ভোগায়নি, তবে ডেঙ্গু অনেকের জীবন কেড়েছে। মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার খোরাক জুগিয়েছে।


বন্যা বা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানি হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেই শঙ্কা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি। আগের বছরই বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু চালু করে দেওয়ার কাজটি সরকার করতে পেরেছে। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প। এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আমরা সবাই জানি, কত প্রতিকূলতার মধ্যে সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে এগিয়েছে এবং অবশেষে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।


বিদায়ী বছরে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেললাইন চালু হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর রেল চলাচল শুরু হওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া বিদায়ী বছরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চালু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এটা বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। বিদায়ী বছরেই চালু হয়েছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল।


বছরজুড়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি ছিল বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য উদ্বেগ ও অস্বস্তির। ডিম, আলু, পেঁয়াজ নিয়ে কত কাণ্ডই না হলো! ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে সরকারের অসহায় আত্মসমর্পণ মানুষকে পীড়া দিয়েছে।


বিদায়ী বছরে সরকারের অর্থসংকটে পড়ার খবর দফায় দফায় শোনা গেছে। আমাদের মতো দেশের পক্ষে উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক সময় অর্থসংকট দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। রাজস্ব আদায়ে সব সরকারের আমলেই ব্যর্থতা লক্ষ করা গেলেও কোনো সময়েই বিদেশি অর্থসহায়তা পেতে আমাদের বেগ পেতে হয়নি। কারণ, এ ধরনের ঋণ পরিশোধে আমাদের সুনাম আছে।


বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি অনেকবারই খবর হয়েছে। এই সংকটের মূল কারণ সম্ভবত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে, বিশ্ববাজারে খাদ্যের দামও বেড়ে যায় আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ না হওয়ায়। ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের পাশাপাশি আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের উসকানিও এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী।


এর মূল্য দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে। বিদায়ী বছরে আমাদের অর্থনীতি ও জনজীবনে সংকট দেখা দিলেও সরকার চেষ্টা করছে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে। কিছু সময়ের জন্য যে বিদ্যুৎসংকট দেখা দিয়েছিল, সেটাও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে সরকার। বিদ্যুতের বেড়ে চলা চাহিদা পূরণে সরকার কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও