কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনমুখী দেশ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কামনা

www.ajkerpatrika.com অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪১

রাজনীতি নিয়ে লেখা আর বলার এখন কোনো মানে দাঁড়ায় কি না, বোঝা মুশকিল। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আসর কি জমে উঠছে? আমরা দেশের বাইরে থাকি। আমরা দূর থেকে যা দেখি তা হয়তো আবছা। কিন্তু স্পন্দন টের পাই। দেশ সবার মা। যে বা যাঁরা বাংলাদেশে জন্মেছেন, তাঁদের সবার অধিকার আছে এ দেশের ওপর। সঙ্গে দায়িত্বও আছে বৈকি। মুশকিল হচ্ছে, আমরা অধিকার ফলাই, দায় নিই না। আজকের বাংলাদেশে রাজনীতির এই সুরতহালের পেছনে প্রবাসীদের অবদান কম নয়। শুধু রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করার মানুষজন আরও অনেক কিছু পাঠাতে পারতেন, যা তাঁরা করেননি।


তাঁরা কী পাঠাতে পারতেন? এই যে আমরা যারা গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি, আমরা কি আসলেই এসব দেশের নিয়মকানুন মানি বা বুঝি? মানার বিষয়ে যাঁরা তর্ক করবেন, তাঁদের বলি, জরিমানা আর শাস্তির ভয়ে আইন মানা, গাড়ি ঠিকভাবে চালানো কিংবা সমাজে শান্তি বজায় রাখা ভিন্ন বিষয়। আমি বলছি, যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর উদার জীবন আমরা যাপন করি তার এক ভাগও দেশে পাঠাইনি আমরা। না পাঠানোর কারণ—আমাদের জীবন ভরে আছে দ্বিচারিতায়। আমরা চেটেপুটে এসব দেশের আগাপাছতলা ভোগ করলেও ভেতরে কিন্তু অন্ধ। সম্প্রদায় ধর্ম বা অন্য অনেক কারণে আমাদের এই অন্ধত্ব মূলত জাতিগত সমস্যা।


সে কারণে দিন দিন উগ্রতা সর্বত্র বেড়েছে। দেশে আমাদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী কাউকে আমরা বলিনি যে আমরা কীভাবে ভোট দিই; কীভাবে নেতারা সমাজ আর জনগণের কাছে নতজানু থাকেন। এটা মানি, আমাদের কথায় খুব কিছু একটা হবে না। কিন্তু চেষ্টা যে করা হয়নি, এটাও তো সত্যি।


বাংলাদেশে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসে, তত কঠিন হয়ে ওঠে পরিবেশ। এটা নতুন কিছু না। যে দেশে বিরোধী দল মানেই আগুনসন্ত্রাস, কোমর খেঁচে নাশকতা করা, সেই সমাজে শান্তি কোথায়? শুধু একদল বা একচোখা হলে হবে না। লগি-বৈঠার কথাও মনে আছে আমাদের। সব সময় যারা বিরোধী দলে থাকে, তারা মনে করে তাদেরই জেতার কথা; তাদের ঠেকানোর জন্য সরকার ও রাষ্ট্র ওত পেতে আছে। অথচ মজার বিষয় এই, এরা দেশদ্রোহী বলে গণ্য হয় না। দেশবিরোধী বলে গণ্য হয় হককথা বলা মানুষজন।


আজকেরবাংলাদেশে  গুণীজন নামে পরিচিতদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব যোজন যোজন। সত্যি এই, স্তাবক আর পতাকাবাহী লোকজন ছাড়া বাকিরা হয় দূরে, নয়তো অস্পৃশ্য। এই দূরত্ব যে শূন্যতা তৈরি করে ফেলেছে তার পরিণাম ভয়াবহ।


নির্বাচনের আগে যেভাবে নাশকতা হচ্ছে তার সঙ্গে নৈরাজ্যের দূরত্ব কতটা? একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে অনেক কিছু হতে পারত। কিন্তু মৃতবৎসা রাজনীতি তা হতে দেয়নি। এই যে নির্বাচন এবং ভোটাভুটি—এই খেলা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে এবং হবে।


আমরা বাইরে থেকে যা বুঝি তার মানে এই—বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যতটা এগিয়েছে, গণতান্ত্রিক ও সমাজগত উন্নয়নে তা পারেনি।নেতাদের কথাই ধরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাদ দিলে তাঁর দলেই আস্থার প্রতীক কে? কাকে ভরসা করবে মানুষ? যাঁরা নৌকা মার্কা পেয়েই নিজেদের জয়ী বলে ধরে নিয়েছেন, তাঁদের নিজেকে প্রস্তুত করার দরকার কী? অথবা করবেনই বা কেন? যেকোনো দেশে, বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশের মতো দেশগুলোয় নায়ক, গায়ক, খেলোয়াড়েরা ভোটে দাঁড়ান। ভোটযুদ্ধে জয়ী হন।


কিন্তু আমাদের সমাজে দাঁড়ালেই হয়। জয়-পরাজয় নির্ভর করে তিনি কোন দল বা কোন পার্টির হয়ে লড়ছেন তার ওপর। এজাতীয় ভোটে আর যা-ই থাক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। যে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সেই খেলার ফলাফল কী হতে পারে, সেটা সবাই জানে। আর জানে বলেই কারও মাথাব্যথা নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও